ব্লগ সংরক্ষাণাগার

শনিবার, ১ জুলাই, ২০২৩

*এবারের হজ্জ্বে ইরানীদের ‘দোয়া-এ-কুমাইল’ পাঠ ও অনলাইনে সক্রিয় সুইডেনপ্রবাসী এক শিয়া ড: সাহেবের লম্ফঝম্প*

 

-এডমিন



আবারো অনলাইনে নিত্যনতুন শিয়া ফিতনার উদ্ভব হয়েছে! অধিকাংশ সুন্নী সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে এই তথাকথিত দোয়ার কোনো নাম-গন্ধ না থাকলেও ইরানে এটা বিরাজমান। এবারের হজ্জ্বে মহাভ্রান্ত সৌদি নজদী-ওহাবীরা তাদের চরম পথভ্রষ্ট ইরানী রাফেযী-শিয়া ভাইদের সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছে এবং তাদের নিজস্ব বাতীল রসম-রেওয়াজ পালনের অনুমতি দিয়েছে। এটাই স্বাভাবিক, কেননা হাদীসে এসেছে সমস্ত বাতীল একজোট। আশ্চর্য লাগে, কিছুদিন আগেও এই দুটি দেশ প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত ছিলো। এখন আন্তর্জাতিক বা ভূ-রাজনৈতিক কৌশলস্বরূপ মার্কিন ডলারের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে দাঁড়াবার স্বার্থে ধর্মীয় আকীদাগত পার্থক্য ভুলে গিয়েছে তারা! আমরা যারা সুন্নী মুসলমান তারা কিন্তু আকীদাগত বিষয়ে ছাড় দেই না! রাজনৈতিক জোট হলেও নয়! ধর্মীয় মূল্যবোধ বজায় রেখেই সন্ধিচুক্তি!

মজার ব্যাপার হলো, অনলাইনে সক্রিয় সুইডেনপ্রবাসী এক শিয়া-রাফেযী ড: সাহেব হজ্জ্বে ইরানী শিয়া গোষ্ঠীর দোয়া পাঠ নিয়ে সরব হয়েছেন। তিনি বাতীল সৌদি আরবের প্রশংসাও করেছেন। অথচ কিছুদিন আগেও তিনি সৌদি ওহাবীদেরকে নাসেবী-খারেজী বলে গালি-গালাজ করতেন! আমরা আবারো বলছি, এই দোয়া ইরানী শিয়ারাই পাঠ করে থাকে, সুন্নীপ্রধান মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে এর কোনো চর্চাই হয় না। ওই চামচার এই গুণকীর্তন দেখে সহজে বোঝা যায় তিনি কোন্ ঘরানার পাবলিক; কোন্ ঘাটের তরণী! বলা বাহুল্য যে, বেশির ভাগ সুন্নী তরীকতী সিলসিলা এসেছে হয়রত আলী (ক.) হতে; তাঁর থেকে ইমাম হাসান (রা.) অথবা ইমাম হুসাইন (রা.); অতঃপর ইমাম যাইনুল আবেদীন (রহ.); তাঁর পরে ইমাম বাকের (রহ.); অতঃপর ইমাম জা’ফর সাদিক (রহ.); এরপর ইমাম মূসা কাযিম (রহ.); অতঃপর ইমাম আলী রেযা (রহ.) প্রমুখ আহলে বাইত। শেষোক্ত জনের পরে বিভিন্ন বুযূর্গানে দ্বীন (আহলে বাইত বা অ-আহলে বাইত) বিভিন্ন সিলসিলায় মানুষদেরকে তরীকতী দীক্ষা দেন। খাঁটি সুন্নী তরীকাহ-গুলোর এটাই হচ্ছে সিলসিলার গোড়া।

অতএব, ইরানী বিরিয়ানীর প্রভাবদুষ্ট এ অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হবার জন্যে আমি সুন্নী মুসলমান সমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।

*সমাপ্ত*

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন