ব্লগ সংরক্ষাণাগার

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য 'মাওলা' শব্দ ব্যবহার করা কি শিরক?

[মুহাম্মদ জালালউদ্দীন নিয়াজের ফেসবুক পাতা হতে সংগৃহীত]
.
কুখ্যাত এজিদী লা-মাযহাবী আহলে খবীস মাওদূদীর চেলা চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা আযাদ লাইব্রেরীর মালিক আবুল কালাম আযাদ তার শিরক ও বিদআত পুস্তকে যা লিখেছে তার মূলকথা হলো...
.
'মাওলা' শব্দটি আল্লাহর জন্য খাছ। অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা শিরক।
.
কুরআন হাদীসের কত বড় অপব্যাখ্যাকারী হলে এমন জগণ্য উক্তি করতে পারে!
.
অথচ দেখুন আল্লাহ পাক সুরা তাহরীমের ৪ নং আয়াতে সুস্পষ্টভাবে 'মাওলা' শব্দটি নিজেই অন্যদের জন্য ব্যবহার করেছেন। যেমন,আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন -

অবশ্যই মহান আল্লাহ তাঁর [প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা'র] 'মাওলা'। হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালামও তাঁর 'মাওলা' এবং নেককার ঈমানদারগণও তাঁর 'মাওলা'। এছাড়া ফিরিশতাগণও তাঁর সাহায্যকারী।
.
এই আয়াত শরীফ তাদের মুখেই চুনকালি মেখে দিয়েছে,যারা দাবি করে আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মাওলা নেই আর কোনো সাহায্যকারী-ও নেই!
.
হাদীস শরীফেও রয়েছে,রাসুলুল্লাহ আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু এর ফযিলত বর্ণানা করতে গিয়ে ইরশাদ করেছেন,আমি যার 'মাওলা' আলীও তার 'মাওলা'।
.আমার তো মনে হচ্ছে এই খবীসটা আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় হাবীবের ওপরেই শিরকের ফতোয়া আরোপ করেছে!। কারণ,আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুলই তো সর্বপ্রথম মাওলা শব্দটি অন্যের জন্য ব্যবহার করেছেন।
.
এই বেয়াদবটা এটাও বলেছে, আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন, এভাবে দুরুদ পড়া শিরক। কারণ, এখানেও প্রিয় রাসুলের জন্য মাওলা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে! নাউযুবিল্লাহ! ক­াউকে অমুক মাওলানা তমুক মাওলানা বলা যাবে না। নাউযুবিল্লাহ!
.
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে এইসব দাজ্জাল কাযযাবদের কালো থাবা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন, আমীন!