ব্লগ সংরক্ষাণাগার

বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩

বাহ্ বাহ্, শিয়াদের জ্ঞানের বহর দেখো!

 

তাবেঈন হলেন সেই (পরবর্তী) মুসলিম প্রজন্ম যাঁরা প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবা (রা.)-বৃন্দকে অনুসরণ (তাবেদারী) করেছেন (তাঁরই সাক্ষাৎ না পেয়ে) এবং এভাবে (ধর্মীয়) শিক্ষা পরোক্ষভাবে [সাহাবা (রা.)-বৃন্দের মাধ্যমে] প্রাপ্ত হয়েছেন। - উইকিপিডিয়া। লিঙ্ক: https://en.wikipedia.org/wiki/Tabi%27un
এজিদী সেনারা কি কারবালার বিষয়টি সাহাবা কেরাম (রা.) থেকে শিক্ষা করেছিলো? তাঁদের (রা.) প্রতি কতো বড় অপবাদ এই সাহাবা-বিদ্বেষী শিয়াদের!



মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩

গাদীরে খুম: শিয়া অপযুক্তির খণ্ডন


-এডমিন

আমার নিয়মিত অনুবাদগুলোতে ফিরবো ভেবেছিলাম, কিন্তু ফেইসবুকে শিয়া গোষ্ঠী আমাদের প্রচারে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে বারবার অপযুক্তি পেশ করছে। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে ২ দিন আগে গণ্ডমূর্খদের কথিত একটি ‘ঈদে গাদীর’ অনুষ্ঠানে ২-৩ জন নারী-পুরুষ আবোল-তাবোল বকেছিলো। সুইডেনপ্রবাসী ড: সাহেব ওই মূর্খদের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, গাদীরে খুম সুন্নীদের, অজ্ঞ শিয়াদের হাতে এটিকে ছেড়ে দিয়েছেন সুন্নীরা। এরই ফলশ্রুতিতে নাকি এসব মূর্খ লোক কথা বলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। হায় রে যুক্তি! আমি নিচে আমার খণ্ডনমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করছি।

প্রথমতঃ গাদীরে খুম দিবসের বাহানায় যে শিয়া-চক্রই ‘ঈদে গাদীর’ পালন করে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তা আমি আমার লেখনীতে স্পষ্ট করেছি। আমি ১৯৭৩ সাল থেকে ধর্মীয় বইপত্র পড়া আরম্ভ করেছিলাম। সে সময় হতে (মানে বিগত ৫০ বছরে) দেশের কোথাও সুন্নী মুসলমানদের দ্বারা গাদীরে খুম মাহফিল অনুষ্ঠিত হতে আমি প্রত্যক্ষ করিনি। ইমামবাড়ার কথা বাদ দিন। ওইখানে মুষ্টিমেয় কিছু উর্দূভাষী লোক শিয়াবাদ চর্চা করতেন; আজো করেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, বড় বড় সুন্নী আলেম-উলামা কেউই গাদীরে খুম দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান করতেন না। যেসব দরবারের আওলাদ এখন এটির প্রসারে কোমর বেঁধে নেমেছেন, তাঁদের পুতঃপবিত্র পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে (১০০ বছর আগেও) এর সপক্ষে একটি নজিরও তাঁরা দেখাতে পারবেন কি না সন্দেহ! এই অপসংস্কৃতি সুন্নীদের নয়, বরং ইরানী শিয়াদের দুরভিসন্ধি। অতএব, যে বা যারা এটির প্রসারে উদ্যোগ নেয়, ফেইসবুকে এর পক্ষে পোষ্ট দেয়, তাদেরকে এর ছত্রছায়ায় ওই সব মূর্খদের উচ্চারিত আবোল-তাবোল কথার দায়ভার বহন করতে হবে!
দ্বিতীয়তঃ সত্যের কল বাতাসে নড়ে। ফেইসবুকে শিয়া মতবাদের প্রচার যে চলমান তা স্বীকার করেছেন আজহারী মৌ-লোভী। সুইডেনপ্রবাসী ড: সাহেবকে প্রদত্ত এক মন্তব্যে তিনি তাঁকেও দোষারোপ করেছেন। অথচ তাঁরা সবাই একই দোষে দুষ্ট। দেখুন তাঁর মন্তব্যের স্ক্রীনশট -