ব্লগ সংরক্ষাণাগার

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫

শাওয়াল মাসের ৬ রোযার ফযীলত


[মোহাম্মদ হাসান আত্তারীর ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত]


হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ ফরমান, 'যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, অতঃপর তার সঙ্গে সঙ্গে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন পূর্ণ বছরই রোজা রাখল।' (সহিহ মুসলিম: ১১৬৪)

এ হাদিসকে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্য বাণী দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন; তিনি বলেন: “যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতরের পরে ছয়দিন রোজা রাখবে, সে যেন গোটা বছর রোজা রাখল; যে ব্যক্তি একটি নেকি করবে, সে দশগুণ সওয়াব পাবে।” অন্য বর্ণনাতে আছে - “আল্লাহ এক নেকিকে দশগুণ করেন। সুতরাং এক মাসের রোজা দশ মাসের রোজার সমান। বাকি ছয়দিন রোজা রাখলে এক বছর হয়ে গেল।” [সুনানে নাসায়ী,সুনানে ইবনে মাজাহ]

 এ হাদিসটি সহিহ আত-তারগীব ও তারহীব (১/৪২১) গ্রন্থেও রয়েছে। সহিহ ইবনে খুজাইমাতে হাদিসটি এসেছে এ ভাষায় - “রমজান মাসের রোজা হচ্ছে দশ মাসের সমান। আর ছয়দিনের রোজা হচ্ছে দুই মাসের সমান। এভাবে এক বছরের রোজা হয়ে গেল।” হাম্বলি মাযহাব ও শাফেয়ি মাযহাবের ফিকাহবিদগণ স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যে, রমজান মাসের পর শাওয়াল মাসে ছয়দিন রোজা রাখা একবছর ফরজ রোজা পালনের সমান; অন্যথায় সাধারণ নফল
রোজার ক্ষেত্রেও সওয়াব বহুগুণ হওয়া সাব্যস্ত। কেননা, এক নেকিতে দশ নেকি দেয়া হয়। অন্য এক বর্ণনায় আছে, 'যে
ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে ছয় দিন রোজা রাখবে, সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য।' (আহমাদ: ৫/২৮০,দারেমি: ১৭৫৫)


সংগৃহীত: মোহাম্মদ জিশান
ইন'শা আল্লাহ আমরা ৬ রোজা রাখার চেষ্টা করবো, আমীন।

শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০১৫

ইসলামের নামে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ



ড: আব্দুল বাতেন মিয়াজী
 [ধারাবাহিক ভাবে বেশ কিছু পর্বে জংগী দমনে এবং সুন্নিয়ত প্রচার ও প্রসারে করণীয় প্রস্তাবনাগুলো প্রকাশ করা হবে, ইনশা আল্লাহ! ফেসবুক পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে কপি করে আপনার টাইমলাইনে পোস্ট করুন। ধন্যবাদ।]

মুসলিম প্রধান দেশে মুসলিমদের হাল-হকীকত

সকালে ঘুম ভেঙেছে, কিন্তু চোখ বন্ধ রেখে বিছানায় শুয়ে আছি। কেন জানি প্রথমেই মনে পড়লো ৭১ চ্যানেলে দেয়া মিতা হকের ইসলাম আর পর্দা-বিরোধী বক্তব্যগুলো। ওই মহিলার ইসলাম আর মুসলমানদের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ কথাগুলো আমার মনে এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে ঘুম ভাংতেই সেগুলোর প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছিলাম। তার মতে বাঙালি হতে হলে মেয়েদের পর্দা করা যাবে না। কাঁধ, ভুরি, বাহু খোলা রেখে শাড়ি পরতে হবে। কপালে থাকতে হবে হিন্দুয়ানী টিপ। মাথায় স্কার্ফ বা কিছু রাখা হবে অবাঙালীর বৈশিষ্ট্য। শরীর পুরোপুরি ঢাকে এমন কোন পোশাক পরিধান মানেই বাঙালিত্ব পরিহার করা। অর্থাৎ পরপুরুষের মনোরঞ্জনে বাঁধা আসে এমন কিছু পরিধান করাই অবাঙ্গালিত্বের বৈশিষ্ট্য। অর্ধ নগ্ন, কামোদ্দীপক পোশাকেই নাকি পুরোপুরি বাঙালিত্ব ফুটে উঠে। পুরুষের বেলায়ও নাকি দাড়ি কাটা, পাঞ্জাবী বা শার্ট পরিধান বাঙালিত্বের অপরিহার্য ভূষণ। মহিলা ইসলামকে কটাক্ষ করে বেশ কিছু সস্তা আর অযৌক্তিক কথা বলল যা কোন রুচিবান মানুষের পক্ষে শোভনীয় হতে পারেনা। কিন্তু মঞ্চে উপবিষ্ট কিছু অর্বাচীন (মামুনুর রশীদ এবং আরো একজন) কিছুই বলল না। মনে হল, এরাও ভয় পেয়েছে, পাছে সত্য বলতে গিয়ে আবার নিজের বাঙালী পরিচয়টুকু জলাঞ্জলি দিতে হয়!

চোখ বন্ধ অবস্থাতেই ভাবছলাম, কেন এমন ধারণা একজন শিক্ষিত মহিলার? সে শুধু একা নয়। আমাদের বাংলাদেশের বেশির ভাগ উচ্চ শিক্ষিত আধুনিকমনা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এমন ধারণা পোষণ করেন। তাদের কাছে ইসলাম মানে সেকেলে, পিছিয়ে পরা, গতানুগতিক কিছু ব্যাপার। যা সর্বতোভাবে পরিহার্য। তাদের চোখে মুসলমান মানেই দাড়ি-টুপী ওয়ালা চরিত্রহীন, লম্পট, ঠক, দেশদ্রোহী কিছু মানুষ। মামুনুর রশীদ কিংবা আব্দুল্লাহ আল-মামুনের মতো কিছু লেখক-নাট্যকার স্বাধীনতা উত্তোর লেখনীতে এমনটিই ফুটিয়ে তুলেছেন।

কেন তারা এমনটি করেছেন? গ্রামের ধার্মিক মাতাব্বর মানেই কেন দাড়ি-টুপী ওয়ালা, পাঞ্জাবী-পরা একজন অমানুষ? এর কারণ হয়তো অনেকেই জানেন না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জামাত-ই-ইসলামী আর মুসলিম লীগের বিরোধিতা এবং এদের নানা অসামাজিক কার্যকলাপ, মানবতা বিবর্জিত কার্যক্রম, ইসলামের নামে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন মানুষের মননে ইসলাম এবং মুসলমান সম্পর্কে এক ধরণের লোমহর্ষক, নিষ্ঠুর, অমানবিক, লম্পট, অধার্মিক চিত্র এঁকে দিয়েছে। সর্বশেষ স্বাধীনতার মাত্র দুদিন পূর্বে বুদ্ধিজীবী-হত্যা মানুষের মনে চিরস্থায়ী ইসলাম-বিদ্বেষ রোপণ করেছে। এদেশের বেশির ভাগ উচ্চ শিক্ষিত মানুষ ইসলামকে জানে জামাত-ই-ইসলামীকে দেখে। উচ্চ শিক্ষিত মানুষদের খুব কমই কুরআন কিংবা হাদিস পড়ে বুঝতে পারে। মুক্তিযদ্ধকালীন জামাতের ভুমিকা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী জামাতের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি মানুষের মনে ইসলাম-বিদ্বেষ ভাবকে আরো পাকাপোক্ত ও প্রকট করে তোলে। ফলে জন্ম নেয় উচ্চ শিক্ষিত মুক্তমনা নাস্তিক গোষ্ঠী। একদিনে এদের এই মনোভাব পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এর জন্য সুষ্ঠু এবং নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কাজ করে যেতে হবে। জামাত, আহলে হাদিস কিংবা লা-মাজহাবীরা আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকে মধ্য প্রাচ্যের ওহাবী-প্রভাবিত দেশগুলো থেকে। তৈরি হচ্ছে জংগী, ইসলামের নামে সন্ত্রাস। কলঙ্কিত করা হচ্ছে ইসলামকে। আর সাধারণ মুসলমানের মুখে কালিমা লেপন করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে রয়েছে আল-কায়েদা, তালিবান, আল-শাবাব, বুকো হারাম, নুসরা ফ্রন্ট, দায়েশ, ইসলামী খিলাফত, হিজবুল্লাহ, হামাসসহ বাংলাদেশের অসংখ্য জংগী সংগঠন যাদের তৈরিতে সরাসরি হাত রয়েছে সৌদি ওহাবী, পশ্চিমা ইহুদি আর খৃষ্টানদের। লক্ষ্য করুণ এদের সবার আক্বীদা হলো সৌদি ওহাবী আক্বীদা। তথা ইসলামকে বিনাশ করার সব নীলনক্সা। অপরদিকে সুন্নীদের সেরকম কোন দাতা নেই। ফলে সঠিক আক্বীদা আর সুন্নীয়ত প্রচার এবং প্রসারের পথ খুবই কণ্টকাকীর্ণ।

আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে একদিকে রয়েছে ভুঁইফোঁড়ের মতো বুর্জোয়া ধর্ম-সন্ত্রাসী জামাত, সহীহ হাদিসের নামে ধর্মীয় ত্রাস আহলে হাদিস কিংবা লা-মাজহাবী, অন্য দিকে রয়েছে আধুনিক শিক্ষা বিবর্জিত কওমী তথা খারেজী গোষ্ঠী। এদের বিপরীতে রয়েছে উচ্চ শিক্ষিত নাস্তিক গোষ্ঠী। আর এ সকল গোষ্ঠীর উল্টোদিকে অবস্থানে আছে আহলে হক্ক বা সঠিক পথের দিশারী নবী-ওলী-সলফে সালেহীনদের পদাংক অনুসরণকারী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। কিন্তু সঠিক এই দলটির অবস্থান এতই নড়বড়ে যে উপরের বর্ণিত কোন পক্ষেরই ধাক্কাই সামলানোর মতো কোন অর্থবল, লোকবল, কৌশল এদের নেই। তবে এদের রয়েছে জ্ঞানের ভাণ্ডার আর ঈমানী জজবা। এদের রয়েছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি অগাদ ভালোবাসা। রয়েছে সলফে সালেহীন, ইমাম, মুজতাহীদ, মুফাসসসীর, মুহাদ্দীসীনে কেরাম এবং আল্লাহর ওলীগণের প্রতি ভালোবাসা এবং অকুণ্ঠ ভক্তি-শ্রদ্ধা। এই হুসাইনী সৈনিকদের রাসুল (দঃ) এর প্রেমের পাশাপাশি প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা, জ্ঞান চর্চা, সঠিক কর্মপন্থা এবং কৌশল। ইনশা আল্লাহ, ধীরে ধীরে সেসব বর্ণনা করা হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য ও সঠিক আক্বীদা বোঝার ও এর উপর স্থির থাকার তৌফিক দান করুন, আমীন!

ওহাবী/সালাফী নামধারী কট্টরপন্থী গোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতায় আর ইহুদী-খৃষ্টান চক্রের কৌশলগত এবং সামরিক সহায়তায় সমগ্র বিশ্বব্যাপী এখন চলছে ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ। এর দায়ভার এসে পড়ছে সাধারণ মুসলমানের উপর। কলঙ্কিত হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম। উইকিলিকস আর পশ্চিমা দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টেই এখন জানা যাচ্ছে কিভাবে তারা নিজেদের স্বার্থে কট্টর মুসলিমদের মধ্য থেকে নিজেদের পছন্দ মত দল তৈরি করে মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে। ইরাকে ১৫ লক্ষ মুসলমান হত্যা করে এরা ক্লান্ত। আফগানিস্তানে কত লক্ষ মুসলমান হত্যা করা হয়েছে তার পরিসংখ্যান এখনো জানা যায়নি। সৌদি সরকারের সরাসরি আহ্বান এবং আর্থিক সহায়তার আশ্বাসেও পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় নিজেদেরকে প্রত্যক্ষভাবে জড়াতে চায়নি। পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্র আর ইজরাইলের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ আর সামরিক সরঞ্জামাদি যোগানের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে "দায়েশ" আর "ইসলামী খেলাফত"-এর মতো এযাবৎকালের সবচে' ধনী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। পশ্চিমাদের ত্রিমাতৃক সহায়তার পাশাপাশি রয়েছে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার আর জর্ডানের আর্থিক সহায়তা। ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি সালাফী ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদের একটি মহীরুহ - বিষবৃক্ষ।

এই বিষবৃক্ষ ইসলামের নামে ধ্বংস করে চলেছে শহর, বন্দর, নগর, ঐতিহাসিক স্থাপনা, ঐতিহ্য, দখল করছে নতুন নতুন অঞ্চল আর জবাই করছে মুসলমান, খৃষ্টান, উপজাতি - যাদেরকেই তাদের কাছে হুমকি মনে হচ্ছে - তাদেরকে। এদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি নবী (আলাইহিমুস সালাম) দের পবিত্র মাজার শরীফ, সাহাবা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম), তাবেঈ এবং আল্লাহর ওলীগণের (রাহিমাহুল্লাহু আজমাঈন) মাজার এবং মাজার সংলগ্ন মসজিদসমূহ। সৌদি আরব যেভাবে ইসলামী সব ঐতিহ্য ধংস করে তৈরি করছে ৫-স্টার হোটেল আর শপিং-মল; আল-কায়েদা, তালিবান, আল-শাবাব, বুকো হারাম, নুসরা ফ্রন্ট, দায়েশ, ইসলামী খিলাফত - এসব দল ও গোষ্ঠীও ধংস করে চলেছে ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এদের ধ্বংসলীলা দেখে বোঝা যাচ্ছে এদের নাম ভিন্ন ভিন্ন হলেও এদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য একই। অর্থাৎ ইসলামকে ইতিহাস শূন্য করা। যাতে খুব সহজেই মুসলমানের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে ফেলা যায়। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, এরা এদের এই লক্ষ্যে অনেকটাই সফল হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, মুসলমানদের ঈমানী জজবা বিনষ্ট করার জন্য সম্প্রতি এরা এদের অনুগত কিছু লোককে নিয়োগ দিয়েছে সমকামী ইমাম হিসেবে। আসলে মুসলমানদের ছদ্মবেশে এরা হল ইহুদী-খৃষ্টানদের এজেন্ট। কারণ কোন মুসলমান সমকামিতাকে প্রশ্রয় দেয়া দূরে থাক সমর্থনও করতে পারেনা। সমকামিতার কারণে আল্লাহ পাক একটি নগরী ধংস করে দিয়েছেন। এদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের কারণে একজন নবী (লুত আঃ) এর স্ত্রীকে পর্যন্ত শুকনো পাথরে পরিণত করে দিয়েছেন। আর এরা ইসলামের নামে চালু করছে সমকামী মসজিদ। আস্তাগফিরুল্লাহ! নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক!

লক্ষ্য করুন, ইহুদী-খৃষ্টান চক্র অতি সুকৌশলে মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে মুসলমানদেরকে সব দিক দিয়ে দুর্বল করে দিচ্ছে। আমাদের মনে থাকার কথা এই ব্রিটিশরা কীভাবে "Divide and Rule", অর্থাৎ, "বিভাজন এবং শাসন" নীতি গ্রহণ করে পুরো মুসলিম ভারতকে প্রায় ২০০ বছর শাসন করেছে। গত কয়েক দশক আগে মিথ্যা মারণাস্ত্রের অজুহাতে এরা ধ্বংস করেছে ইরাক, তাদের গৃহপালিত ওসামা বিন লাদেনকে ধরার নামে ধ্বংস করেছে আফগানিস্তান। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে একে একে অকেজো করেছে মিশর, আলজেরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া, তিউনিসিয়া। আর সিরিয়াকেও তো পুরো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। ইরানকে শত চেষ্টার পরও তেমন কাবু করতে পারেনি। সবচে' আতংকের বিষয় হচ্ছে এই বিষবৃক্ষ এখন বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে খোদ আরব মুল্লুকে, যেমন সৌদি আরব আর কুয়েতে। ইতোমধ্যেই এরা সৌদি আরব ও কুয়েতে বেশ কিছু হামলাও পরিচালনা করেছে। সবচে' অবাক করার বিষয় হচ্ছে এরা এখন মিশরের সিনাই উপত্যকায় মিশরীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এদের শক্তি এবং সামর্থ্য এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে এখন এরা শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলোতেও হামলা করতে ভ্রূক্ষেপ করছে না।

লিবিয়াতে পশ্চিমাদের আমৃত্যু শত্রু গাদ্দাফীর পতনের পর এরা এদের পছন্দের বিদ্রোহী দলগুলোকে হটিয়ে এখন আবার পথ করে দিচ্ছে ইসলামী খিলাফতের। ইসলামী খেলাফত এখন তাণ্ডব চালাচ্ছে খোদ রাজধানী ত্রিপলিতে। এভাবে একের পর এক মুসলিম রাষ্ট্র ধ্বংসের পর মুসলমানদেরকে নিজেদের অনুগত দাসে পরিণত করতে আর কোন বাঁধা থাকবে না। যেমন ইতোমধ্যেই সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বের অনেক দেশই পশ্চিমা খৃষ্টানদের আর ইহুদী রাষ্ট্র ইজরাইলের আনুগত্য করে চলেছে। সৌদি তেল কোম্পানি ARAMCO- এর লভ্যাংশের অর্ধেক নিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরব তাদের সৌদি রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সব সয়ে যাচ্ছে।

মুসলমান যাতে মাথা তুলে দাড়াতে না পারে সেজন্য এরা মুসলমানদের মধ্য থেকে তৈরি করছে কট্টরপন্থী সালাফী/আহলে হাদিস কিংবা লা-মাজহাবীদের মতো গ্রুপ। এরা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে সংগঠিত হলেও এদের আদর্শ, ধর্মীয় মতবাদ এবং ধ্বংসযজ্ঞের চেহারা একই রকম। এদের লক্ষ্য হলো একদিকে ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা, অন্য দিকে অধিকৃত অঞ্চলে ইসলামী সব ঐতিহ্য ধ্বংসের মাধ্যমে ইসলামকে ইতিহাস-শূন্য করা।