ব্লগ সংরক্ষাণাগার

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মিশকাতুল মাসাবীহ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হাদীস শরীফ

 

[মূল: ইমাম বায়হাকী (রহ.) কৃত ‘শুয়াবুল ঈমান,’ ১৯০৮]
ইবারত/আরবী উদ্ধৃতি:
وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَبْقَى مِنَ الْإِسْلَامِ إِلَّا اسْمُهُ وَلَا يَبْقَى مِنَ الْقُرْآنِ إِلَّا رَسْمُهُ مَسَاجِدُهُمْ عَامِرَةٌ وَهِيَ خَرَابٌ مِنَ الْهُدَى عُلَمَاؤُهُمْ شَرُّ مَنْ تَحْتَ أَدِيمِ السَّمَاءِ مِنْ عِنْدِهِمْ تَخْرُجُ الْفِتْنَةُ وَفِيهِمْ تَعُودُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَان
অর্থ: হযরতে ইমামে ’আলী (কার্রামাল্লাহু ওয়াজহাহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শীঘ্রই মানুষের ওপর এমন এক যুগ আসবে, যখন শুধু নাম ছাড়া ইসলাম ধর্মের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না; সেদিন কুরআনের অক্ষরই শুধু অবশিষ্ট থাকবে। তাদের মাসজিদগুলো তো বাহ্যিকভাবে আবাদ হতে থাকবে, কিন্তু হিদায়াতশূন্য থাকবে। তাদের আলেম-উলামা হবে আকাশের নিচে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট লোক; তাদের কাছ থেকেই (দীনের মধ্যে) ফিতনাহ্-ফাসাদ সৃষ্টি হবে। অতঃপর এ ফিতনাহ্ তাদের দিকেই ফিরে আসবে।
সারমর্ম: উক্ত ফিতনার যুগে বড় বড় জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ নির্মাণ হবে, আর তাতে মুসল্লিরও সমাগম হবে যার দরুন আবাদ হতে থাকবে। কিন্তু তা (মানে মসজিদ) হবে হেদায়াতশূন্য, মানে গোমরাহীপূর্ণ। হেদায়াতের আলো না থাকলে গোমরাহীর অন্ধকার বিরাজ করবে। ওই সময় ধর্মীয় পদে সমাসীন আলেম-উলামাই ফিতনার জন্ম দেবে। ইমাম বায়হাকী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-এর বর্ণিত এ হাদীসটিকে সালাফী/ওহাবী গোষ্ঠী ‘যয়ীফ’ বা দুর্বল বলে দাবি করে থাকে। এটা তারা করবেই, কেননা হাদীসের বিষয়বস্তু যে তারা নিজেরাই!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন