ব্লগ সংরক্ষাণাগার

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মিশকাতুল মাসাবীহ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হাদীস শরীফ: মসজিদে ফিতনা

 

[মূল: ইমাম বায়হাকী (রহ.) কৃত ‘শুয়াবুল ঈমান,’ ১৯০৮]
ইবারত/আরবী উদ্ধৃতি:
وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَبْقَى مِنَ الْإِسْلَامِ إِلَّا اسْمُهُ وَلَا يَبْقَى مِنَ الْقُرْآنِ إِلَّا رَسْمُهُ مَسَاجِدُهُمْ عَامِرَةٌ وَهِيَ خَرَابٌ مِنَ الْهُدَى عُلَمَاؤُهُمْ شَرُّ مَنْ تَحْتَ أَدِيمِ السَّمَاءِ مِنْ عِنْدِهِمْ تَخْرُجُ الْفِتْنَةُ وَفِيهِمْ تَعُودُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَان
অর্থ: হযরতে ইমামে ’আলী (কার্রামাল্লাহু ওয়াজহাহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শীঘ্রই মানুষের ওপর এমন এক যুগ আসবে, যখন শুধু নাম ছাড়া ইসলাম ধর্মের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না; সেদিন কুরআনের অক্ষরই শুধু অবশিষ্ট থাকবে। তাদের মাসজিদগুলো তো বাহ্যিকভাবে আবাদ হতে থাকবে, কিন্তু হিদায়াতশূন্য থাকবে। তাদের আলেম-উলামা হবে আকাশের নিচে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট লোক; তাদের কাছ থেকেই (দীনের মধ্যে) ফিতনাহ্-ফাসাদ সৃষ্টি হবে। অতঃপর এ ফিতনাহ্ তাদের দিকেই ফিরে আসবে।
সারমর্ম: উক্ত ফিতনার যুগে বড় বড় জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ নির্মাণ হবে, আর তাতে মুসল্লিরও সমাগম হবে যার দরুন আবাদ হতে থাকবে। কিন্তু তা (মানে মসজিদ) হবে হেদায়াতশূন্য, মানে গোমরাহীপূর্ণ। হেদায়াতের আলো না থাকলে গোমরাহীর অন্ধকার বিরাজ করবে। ওই সময় ধর্মীয় পদে সমাসীন আলেম-উলামাই ফিতনার জন্ম দেবে। ইমাম বায়হাকী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-এর বর্ণিত এ হাদীসটিকে সালাফী/ওহাবী গোষ্ঠী ‘যয়ীফ’ বা দুর্বল বলে দাবি করে থাকে। এটা তারা করবেই, কেননা হাদীসের বিষয়বস্তু যে তারা নিজেরাই!

শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪

Reply to Minhajul Qur'an Bangladesh Wing

 - Admin


This is an image of the book 'Mawlid: Celebrations and Permissibility's copyright-related page, which was posted on Facebook by one of the Bangladesh wing's members: 



 My reply in separate Facebook comments:


For whom the bell tolls (it tolls for thee): What legal action has been taken against my translation of the said book (Mawlid 1st part) that was published in 2019? Copies of the translation were sent to the author in Canada and he didn't object to those. My name as the translator is engraved on that book! Henceforth, you have no moral or legal ground left to stand on for enforcing restrictions now - after so long a time since then. Secondly, the PDF is a non-profit publication, which conforms with the Islamic spirit. Your coming here and posting a JPG photo only reveals the jealousy and meanness of the Bangladesh wing. So, go ahead, do what you want to do! I am not afraid of you, the worthless publishers! Your standard in the realm of publication stinks! The Dr. sahib in Canada is not aware of this debacle, I am absolutely sure! If only he knew the truth!


I am ready to take you on in court! Damning evidences!


If you publish your mediocre and stinking translation of the book, and if I find plagiarism in it (i.e. copying from my sublime translation), then I shall take you to court, this is my solemn word! Since my translation came out first, I shall have the legal ground to initiate litigation against your cotton-picking, BS translation! Copyright laws will favor me, the first translator, whose book has been published. I have gone through the Copyright Acts of 2023. Lodging of only one complaint with the Copyright office will be enough to cancel your entire publication in the twinkling of an eye! For whom the bell tolls, it tolls for thee!


The Copyright office would give a hearing, and I would provide the name of Mawlana Tayyib Chowdhury as witness. He would then be summoned to bear witness to the fact that I was the translator, and also that I didn't give him any royalty in exchange for money (meaning no such document is in his possession). Henceforth, I, the translator of the book, would be deemed as the rightful copyright owner. The mawlana would also have to testify to the fact that the Canadian Dr sahib gave him permission (i.e. producing the letter of permission at the hearing would be mandatory). The Bangladesh wing would be in dire staits considering the fact that our government hasn't granted them any registration as an affiliate to a foreign organisation!


Mawlana Tayyib Choudhury's publishing house - Sanjery Publication - didn't require an ISBN number since his company is registered with the government's concerned authority/department. But as regards the Bangladesh wing its registration is a suspect.







শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪

হযরত যায়দ (রা.)’কে ‘মওলা’ সম্বোধনবিষয়ক হাদীস

 

- এডমিন
উক্ত হাদীসটি সম্প্রতি আমার ফেইসবুকের টাইমলাইনে একটি পোষ্টে উদ্ধৃত হয়েছে। অতঃপর জনৈক সুন্নী-ছদ্মবেশী শিয়াপক্ষীয় ব্যক্তি আমার মন্তব্য ফোরামে এসে তওহীদ পাবলিকেশন ও আধুনিক প্রকাশনীর অনলাইন হাদীস সংকলনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, আল-বুখারী (রহ.)-এর বর্ণিত হাদীসটির বাংলা ভাষান্তর করা হয়েছে “আযাদকৃত গোলাম।” এমতাবস্থায় আমি একই ওয়েবসাইট (হাদীসবিডি.কম)-এর ‘মিশকাতুল মাসাবীহ’ গ্রন্থের মধ্যে একযোগে সর্ব-হযরত বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী (রহমতুল্লাহি আলাইহিম)-এর বর্ণিত একই হাদীসের এবারত/উদ্ধৃতি যাচাই করলাম। কী আশ্চর্য! তাতে বাংলা ভাষান্তর পাওয়া গেলো “প্রিয়ভাজন (বন্ধু)” [দেখুন লিঙ্ক - https://www.hadithbd.net/hadith/link/?id=68704... ]
আমি জানি তওহীদ পাবলিকেশন ও আধুনিক প্রকাশনী ভ্রান্ত সালাফী/মওদূদীবাদী গোষ্ঠীর প্রকাশনা সংস্থা, যাদের সাথে শিয়া গোমরাহদের এ ব্যাপারে মতবাদগত মিল রয়েছে। তারা হাদীসটি অনুবাদে বিকৃতি সাধন করবেই। তাই আমি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটগুলো চেক/যাচাই করা আরম্ভ করি। সুন্নী একটি সাইটে পাওয়া গেলো একখানা লেখা যার উদ্ধৃতি নিম্নরূপ: শিয়া অপযুক্তি নং ৩ - প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি ইমামে আলী (কার্রামাল্লাহু ওয়াজহাহু) ছাড়াও অন্য কাউকে ‘মওলা’ শব্দটি দ্বারা সম্বোধন করেছেন? সুন্নীদের উত্তর: হ্যাঁ, অন্যদের ক্ষেত্রেও তা করেছেন। অতঃপর দুটি উদাহরণ এতে পেশ করা হয়েছে যার একটি - وقال لزيد: أنت أخونا ومولانا - অর্থ: “তুমি (যায়দ) আমাদের ভাই ও আমাদের মওলা।” [দেখুন সাইট লিঙ্ক: https://youpuncturedtheark.wordpress.com/.../the.../... ]।
অতঃপর ‘মিশকাতুল মাসাবীহ’ গ্রন্থের উক্ত ৩৩৭৭ নং হাদীসের উর্দূ অনুবাদ আরেকটি সাইটে পেলাম। তাতে লিপিবদ্ধ রয়েছে - تم ہمارے بھائی اور ہمارے چہیتے ہو - বাংলা অর্থ (গুগল): তুমি আমাদের ভাই ও আমাদের প্রিয়ভাজন (বন্ধু)। [দেখুন সাইট লিঙ্ক: https://www.socioon.com/.../mishkat-al.../hadees-no-3377 ]
অতএব, আমরা সুন্নীরা আমাদের বক্তব্যে অটল, অবিচল। সবাইকে হাদীস বিকৃতির ব্যাপারে সতর্ক করছি। হাদীসবিডি-ডট-কম সাইট কর্তৃক ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় একই হাদীসের তরজমা দু রকম কেন? সংশ্লিষ্টরা জবাব দেবেন কি?

ভুল অনুবাদ

আন্তর্জাতিক সালাফীদের হাদীসের ইংরেজি সাইট ‘সুন্নাহ-ডট-কম।’ তারা মিশকাতুল মাসাবীহ ৩৩৭৭ নং হাদীসে ‘মওলা’ শব্দটির অনুবাদ করেছে - Client - যা আমেরিকান চেইমবার্স ডিকশানারীতে অর্থ করা হয়েছে - Dependent (পালক/পোষ্য) শব্দ দ্বারা। হাদীসবিডি-ডট-কম এই ইংরেজি সালাফী সাইটকেই অনুসরণ করে, কিন্তু এখানে তারা অনুবাদে মারাত্মক ভুল করেছে! দেখুন ইংরেজি সংস্করণ - https://sunnah.com/mishkat:3377

হাদীসের বিকৃতি

হযরত যায়দ (রা.)-এর প্রতি ‘মওলা’ শব্দের প্রায়োগিক অর্থ বুঝতে হলে হাদীসটির ভাব, অর্থাৎ, কী বোঝানো হয়েছে তা অনুধাবন করতে হবে। তাই হাদীসটি উদ্ধৃত করছি - “অতঃপর ঐ কন্যার লালন-পালনে ’আলী , যায়দ ও জা’ফার - এই তিনজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দিল। ’আলী বললেন, আমিই তাকে প্রথম উঠিয়েছি এবং সে আমার চাচাত বোন। জা’ফার বললেন, সে তো আমারও চাচাত বোন এবং তার খালা আমার সহধর্মিণী। যায়দ বললেন, সে তো আমার ভাতিজি। এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খালার পক্ষে রায় দিয়ে বললেন, খালা মাতৃসম। অতঃপর ’আলীকে বললেন, তুমি আমার, আমি তোমার (আপনজন)। জা’ফারকে বললেন, তুমি আমার শারীরিক গঠন ও চারিত্রিক গুণের সাদৃশ্যের অধিকারী। আর যায়দকে বললেন, তুমি আমারই ভাই, আমাদের প্রিয়তম।” প্রিয়নবী (ﷺ) তিনজনকেই সান্ত্বনাসূচক প্রশংসাপূর্ণ কথা বলেছিলেন। অতএব, সালাফীদের অনূদিত ‘আযাদকৃত গোলাম’ কথাটি হাদীসের ভাবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কেননা তা গ্লানিকর। দেখুন হাদীসের বিকৃতির লিঙ্ক: https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=26838&fbclid=IwZXh0bgNhZW0CMTAAAR1pTkBHMBz-kqPtmZgaLHF5V46XvDp7Iilz2n8DTS3gJlLshGY4vvLklaI_aem_jN2kyeWe6fJ80sUPsx_jGg 


*সমাপ্ত*

বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪

*রাসূল (ﷺ) কখন থেকে রাসূল?*


-এডমিন
হায়, মুসলমান সমাজের এ কী দুরবস্থা! অনলাইনে প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যথাসাধ্য হেয় করার জন্যে কতিপয় আলেম-উলামার কী প্রাণান্তকর অপপ্রয়াস! শিরোনামের বিষয়টি এখন অনলাইনে ভাইরাল এ মর্মে যে, প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রকাশ্য হায়াতে জিন্দেগী ৪০ বছর হওয়ার আগে তিনি রাসূল বা নবী ছিলেন না। সুন্নী আলেম-উলামা শরঈ দলিল পেশ করেছেন যে তিনি তা সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই ছিলেন। আমি তাঁদের পেশকৃত দলিল নিয়ে এ আলোচনা করবো না, বরং আরেকটি দলিল এখানে পেশ করবো। অতএব, কথা না বাড়িয়ে দলিলে যাওয়া যাক।
*হাদীসের আরবী ইবারত*
حدثنا أبو سعيد عمرو بن محمد بن منصور العدل حدثنا أبو الحسن محمد بن إسحاق بن إبراهيم الحنظلي حدثنا أبو الحارث عبد الله بن مسلم الفهري حدثنا إسماعيل بن مسلمة أنبأ عبد الرحمن بن زيد بن أسلم عن أبيه عن جده عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما اقترف آدم الخطيئة قال يا رب أسألك بحق محمد لما غفرت لي فقال الله يا آدم وكيف عرفت محمدا ولم أخلقه قال يا رب لأنك لما خلقتني بيدك ونفخت في من روحك رفعت رأسي فرأيت على قوائم العرش مكتوبا لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنك لم تضف إلى اسمك إلا أحب الخلق إليك فقال الله صدقت يا آدم إنه لأحب الخلق إلي ادعني بحقه فقد غفرت لك ولولا محمد ما خلقتك .
هذا حديث صحيح الإسناد
সারমর্ম: হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যখন আদম (আলাইহিস সালাম) গন্দম খাওয়ার কাজটি সংঘটন করেন, তখন তিনি আরয করেন: ‘হে আমার প্রভু! আমি মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)-এর হক্ব তথা অধিকারের দোহাই দিয়ে আপনার কাছে পানাহ্ বা ক্ষমা চাই।’ আল্লাহ এমতাবস্থায় বলেন: ‘ওহে আদম (আ:)! তুমি মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে কীভাবে জানলে, যাঁকে আমি এখনো সৃষ্টি করিনি?’ পয়গম্বর আদম (আ:) উত্তর দেন: ‘হে আমার প্রভু! আপনি যখন আমায় সৃষ্টি করেন এবং আমার মাঝে রূহ ফুঁকে দেন, তখন আমি আমার মাথা তুলে দেখতে পাই (উচ্চ) আরশের সীমায় লেখা আছে - লা’ ইলা’হা ইল্লা’ল্লা’হু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লা’হ। আমি বুঝতে পারি, আপনি আপনার সবচেয়ে প্রিয় কারো নাম (মোবারক)-ই আপনার পবিত্র নামের পাশে স্থাপন করতে পারেন।’ অতঃপর আল্লাহতা’লা বলেন, ‘ওহে আদম (আ:)! আমি তোমায় ক্ষমা করলাম; মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) না হলে আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না’।”
وأقر صحته السبكي في شفاء السقام ص 120 ، والسمهودي في وفاء الوفاء ص 419 ، والقسطلاني في المواهب اللدنية ، والزرقاني في شرحه 1 ص 44 ، والعزامي في فرقان القرآن ص 117 .
এই হাদীসটি আল-হা’কিম বর্ণনা করেন এবং তিনি এটাকে সহীহ বলেছেন [আল-মুসতাদরাক, ২:৬১৫]। এছাড়া একে সহীহ বলেছেন ইমাম হাফেয আল-সৈয়ূতী (রহ:) নিজ ‘খাসা’ইস’ পুস্তকে এবং জাল হাদীসের বর্ণনা পরিহারকারী ইমাম বায়হাক্বী (রহ:) আপন ‘দালা’য়েল আল-নুবুওয়্যা’ গ্রন্থের ভূমিকায়। এ হাদীসকে সহীহ ঘোষণা করেছেন ইমাম ক্বসতলা’নী (রহ:) তাঁর ‘আল-মাওয়া’হিবুল লাদুনিয়া’ বইয়ে এবং যুরক্বা’নী মালেকী নিজের ‘শরহে মাওয়া’হিব’ পুস্তকে। এছাড়া একে সহীহ বলেছেন ইমাম তক্বীউদ্দীন সুবকী তাঁর ‘শেফাউস সেক্বা’ম বইয়ে। [শাইখ মুহাম্মদ আলূভী মালিকী হাসানী (রহ.) কৃত ‘সংশোধনীয় ভ্রান্ত ধারণাসমূহ]
ইবনে তাইমিয়া, আলবানী, মাদখালী গং এই হাদীসটিকে জাল/দুর্বল প্রমাণ করতে চাইলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শাইখ হিশাম কাব্বানী নক্বশবন্দী সাহেব তাদেরকে একটি নাতিদীর্ঘ লেখায় রদ করেছেন, যা পরে কোনো এক সময়ে অনুবাদ করে দেবো, ইনশা’আল্লাহ। লিঙ্ক: https://docs.google.com/document/d/1J3jwbJZ7MYjQSBu4sNio4d8UfbyVJoYs6SNv_NeLqG0/edit?usp=sharing
*লক্ষ্য করুন*
আরশের সীমায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ (ﷺ) মর্মে কলেমা-বাক্যটি লেখা ছিলো। এতে বোঝা যায়, প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই রাসূল ছিলেন। আল্লাহর কী মহিমা! শরঈ দলিলেই বাতীলদের রদ!
*সমাপ্ত*

See insights and ads
All reactions:
Naimul Ahsan, Musaheb Uddin Baktiar and 77 others

বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩

বাহ্ বাহ্, শিয়াদের জ্ঞানের বহর দেখো!

 

তাবেঈন হলেন সেই (পরবর্তী) মুসলিম প্রজন্ম যাঁরা প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবা (রা.)-বৃন্দকে অনুসরণ (তাবেদারী) করেছেন (তাঁরই সাক্ষাৎ না পেয়ে) এবং এভাবে (ধর্মীয়) শিক্ষা পরোক্ষভাবে [সাহাবা (রা.)-বৃন্দের মাধ্যমে] প্রাপ্ত হয়েছেন। - উইকিপিডিয়া। লিঙ্ক: https://en.wikipedia.org/wiki/Tabi%27un
এজিদী সেনারা কি কারবালার বিষয়টি সাহাবা কেরাম (রা.) থেকে শিক্ষা করেছিলো? তাঁদের (রা.) প্রতি কতো বড় অপবাদ এই সাহাবা-বিদ্বেষী শিয়াদের!



মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩

গাদীরে খুম: শিয়া অপযুক্তির খণ্ডন


-এডমিন

আমার নিয়মিত অনুবাদগুলোতে ফিরবো ভেবেছিলাম, কিন্তু ফেইসবুকে শিয়া গোষ্ঠী আমাদের প্রচারে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে বারবার অপযুক্তি পেশ করছে। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে ২ দিন আগে গণ্ডমূর্খদের কথিত একটি ‘ঈদে গাদীর’ অনুষ্ঠানে ২-৩ জন নারী-পুরুষ আবোল-তাবোল বকেছিলো। সুইডেনপ্রবাসী ড: সাহেব ওই মূর্খদের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, গাদীরে খুম সুন্নীদের, অজ্ঞ শিয়াদের হাতে এটিকে ছেড়ে দিয়েছেন সুন্নীরা। এরই ফলশ্রুতিতে নাকি এসব মূর্খ লোক কথা বলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। হায় রে যুক্তি! আমি নিচে আমার খণ্ডনমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করছি।

প্রথমতঃ গাদীরে খুম দিবসের বাহানায় যে শিয়া-চক্রই ‘ঈদে গাদীর’ পালন করে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তা আমি আমার লেখনীতে স্পষ্ট করেছি। আমি ১৯৭৩ সাল থেকে ধর্মীয় বইপত্র পড়া আরম্ভ করেছিলাম। সে সময় হতে (মানে বিগত ৫০ বছরে) দেশের কোথাও সুন্নী মুসলমানদের দ্বারা গাদীরে খুম মাহফিল অনুষ্ঠিত হতে আমি প্রত্যক্ষ করিনি। ইমামবাড়ার কথা বাদ দিন। ওইখানে মুষ্টিমেয় কিছু উর্দূভাষী লোক শিয়াবাদ চর্চা করতেন; আজো করেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, বড় বড় সুন্নী আলেম-উলামা কেউই গাদীরে খুম দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান করতেন না। যেসব দরবারের আওলাদ এখন এটির প্রসারে কোমর বেঁধে নেমেছেন, তাঁদের পুতঃপবিত্র পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে (১০০ বছর আগেও) এর সপক্ষে একটি নজিরও তাঁরা দেখাতে পারবেন কি না সন্দেহ! এই অপসংস্কৃতি সুন্নীদের নয়, বরং ইরানী শিয়াদের দুরভিসন্ধি। অতএব, যে বা যারা এটির প্রসারে উদ্যোগ নেয়, ফেইসবুকে এর পক্ষে পোষ্ট দেয়, তাদেরকে এর ছত্রছায়ায় ওই সব মূর্খদের উচ্চারিত আবোল-তাবোল কথার দায়ভার বহন করতে হবে!
দ্বিতীয়তঃ সত্যের কল বাতাসে নড়ে। ফেইসবুকে শিয়া মতবাদের প্রচার যে চলমান তা স্বীকার করেছেন আজহারী মৌ-লোভী। সুইডেনপ্রবাসী ড: সাহেবকে প্রদত্ত এক মন্তব্যে তিনি তাঁকেও দোষারোপ করেছেন। অথচ তাঁরা সবাই একই দোষে দুষ্ট। দেখুন তাঁর মন্তব্যের স্ক্রীনশট -



বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩

ছুপা/গোপন শিয়ার অপকৌশল


-এডমিন।

আজ অনলাইনে সক্রিয় আরেক সন্দেহভাজন সম্পর্কে আলোচনা করবো। সত্য তেতো, কিন্তু জ্ঞানের খাতিরে বলতে হয়। আমি যখন ২০১৯ সালের শেষভাগে ফেইসবুকে ‘সুন্নী দৃষ্টিকোণ হতে গাদীরে খুম-সম্পর্কিত হাদীসের বিশ্লেষণ’ শীর্ষক বইটি ধারাবাহিক পোষ্টে প্রকাশ আরম্ভ করি, তখন এই আজহারী মৌ-লোভী ও তাঁর সহযোগীরা আমার একটি প্রকাশিত শিয়া-বিরোধী বইয়ের বিরুদ্ধে স্ক্রীনশট ধোঁকাবাজিতে লিপ্ত হন। এই মৌ-লোভী আমার মেসেঞ্জার বক্সে এসে আমীরে মু’য়াবিয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর ব্যাপারে কাফফে লিসান তথা নিশ্চুপ/সুকুত থাকতে বলেন (নোট: আমীরে মুয়াবিয়া রা.-এর পক্ষে জবাব বইটির অনুবাদ তখন আরম্ভ হয়েছিলো)। বস্তুতঃ নিচের (২য়) স্ক্রীনশটেও ওই সাহাবী (রা.) সম্পর্কে তাঁর এলার্জি দৃশ্যমান। অথচ কাফফে লিসান শুধু সাহাবা (রা.)-বৃন্দের মধ্যকার মতভেদের ক্ষেত্রেই প্রয়োগযোগ্য; তাঁদের ফযীলত বর্ণনার ক্ষেত্রে নয়। এ ব্যাপারে জানতে উপাধ্যক্ষ মওলানা এ,কে,এম, ফজলুল হক সাহেবের এতদসংক্রান্ত আলোচনার সিরিজ ভিডিওগুলো দেখার বিনীত অনুরোধ জানাই।
নিচের ২য় স্ক্রীনশটে মৌ-লোভী আজহারী দাবি করেছেন কোনো সুন্নী ইমাম বিগত ইসলামী ইতিহাসে আমীরে মু’য়াবিয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর শান-মান প্রকাশক অনুষ্ঠান করেননি। অথচ হাদীসের ইমামবৃন্দ (রহ.) তাঁর ফযীলত বর্ণনায় নিজেদের হাদীসগ্রন্থে আলাদা আলাদা অধ্যায় রচনা করেছেন। এটাই তো (শরঈ) ফাউন্ডেশন তথা ভিত্তি রচনা করেছে। ধর্মীয় বইয়ে প্রশংসা করতে পারলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কেন নয়? কেন এই এলার্জি? এটা শিয়ার আলামত নয় কি?
আজহারী মৌ-লোভী ওই শিয়া আলামত ছুপাবার তথা লুকোবার অসৎ উদ্দেশ্যে ঈদে গাদীর শব্দের মধ্যে ঈদ শব্দটি বাদ দিতে চান। এটা স্রেফ তাকিয়াবাজি বা ধোঁকাবাজি! সুন্নী মুসলমান সমাজকে ধাপ্পা দেয়ার শয়তানী ফন্দি! আমি ইতিপূর্বে একটি পোষ্টে বলেছিলাম, অনলাইনে অচেনা কারো কথায় বিশ্বাস করবেন না। সুন্নী আলেম-উলামা যাঁদেরকে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে বিশ্বস্ত বলে চেনেন-জানেন, শুধু তাঁদের ধর্মীয় পরামর্শই গ্রহণ করবেন। কেননা আজকাল মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে এজেন্ডাধারী সেবাদাস অনেক মৌ-লোভীর আবির্ভাব ঘটছে। এরা ইরানী অথবা সৌদি উটের দুধ ও দুম্বার গোস্তের (মানে পেট্রো-ডলারের) কারবারি; শিয়া মোত’আ ললনাদের সরবরাহকারী! অতএব, সাবধান! এসব ঈমান হরণকারী বদমাইশ লোকের চক্রান্তের জালে আটকা পড়বেন না।
শিয়া ঈদে গাদীর নিয়ে যেহেতু অনেক লেখালেখি চলছে, সেহেতু এ বিষয়ে এখানে আর লিখলাম না। আমার এতদসংক্রান্ত পোষ্টগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখুন। ধন্যবাদ।


*সমাপ্ত*