ব্লগ সংরক্ষাণাগার

বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩

*পবিত্র বদর দিবসসম্পর্কিত ব্যাখ্যা*


-এডমিন

ইসলামের ইতিহাস পড়লে জানা যায়, মদীনার উপকণ্ঠে বদর প্রান্তরে উপনীত হয় আনুমানিক ১০০০ জনের সেনাবাহিনী নিয়ে মক্কার কুফফার। তারা মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে আগ্রাসন চালিয়েছিলো। তাদেরকে মোকাবিলা করেন মাত্র ৩১৩ জন মুসলমান, যা ছিলো আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা। বস্তুতঃ দুনিয়ার যুক্তি ও বিচারে এটি একটি অসম যুদ্ধ। কিন্তু আল্লাহতায়ালার কুদরত বা ক্ষমতা তো দুনিয়ার যুক্তি দ্বারা বিচার করা সম্ভব নয়। ফলাফল তাই মুসলমানদের পক্ষে চলে আসে। নতুবা ইসলাম ও মুসলমানদের অস্তিত্বই থাকতো না! এখানেই আধ্যাত্মিকতার জয়! তবে দুঃখের বিষয়, ১৯৭১ সালে আগ্রাসন চালানোর অসৎ উদ্দেশ্যে উল্টো এই পবিত্র নামটির অপব্যবহার করা হয়েছিলো। ফলে আল্লাহতায়ালাও এর প্রতিদান দিয়েছেন, হিসেব কড়ায় গণ্ডায় মিটিয়ে দিয়েছেন! ওই অসৎ উদ্দেশ্য লালনকারীরা অবশেষে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে।
সতর্কীকরণ

সবার স্মরণ রাখা উচিত যে, বদর একবারই সংঘটিত হওয়ার অনন্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। এটি আর দ্বিতীয়বার ঘটবে না। মানে এর মর্তবা-মর্যাদা আর কোনো যুদ্ধের নেই। কেননা এটি প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিচালনার স্পর্শে অনন্য সাধারণ হয়েছে, যেমনটি তিনি বলেছেন তাঁর ও তাঁর সাহাবা (রা.)-মণ্ডলীর যুগই শ্রেষ্ঠ। অতএব, তাঁর বেসাল শরীফের পরে যে কেউ বা যে কোনো গোষ্ঠী নিজেদের তৎপরতা/অপতৎপরতার সাথে ওই পবিত্র নাম জুড়ে দিলে তা অবমাননাকর ও ধোঁকাবাজি হিসেবেই বিবেচিত হবে। বস্তুতঃ এটি এক ধরনের বাটপারি ছাড়া কিছু নয়!

*সমাপ্ত*

ছবি: বদর প্রান্তর ও শহীদানের মাযার শরীফ








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন