[Dr. G.F. Haddad's response to a question posed to him regarding 'Sahabi Mu'awiya' (Ra:) at www.eshaykh.com]
হযরতে আমীরে মু’আবিয়া (রা:) সম্পর্কে ড: জি, এফ, হাদ্দাদের ভাষ্য
প্রশ্ন: সালামুন আলাইকুম, হে শায়খ হাদ্দাদ! আল্লাহতা’লা আপনার মঙ্গল করুন। হযরতে আমীরে মু’আবিয়া (রা:)-এর নাম উল্লেখের পরে ‘রাহিমাহুল্লাহ’ বলার যথার্থতা কতোটুকু, বিশেষ করে ’তারাদ্দি’র (ধর্মত্যাগের) বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে, যেহেতু তাঁর কিছু কাজের ব্যাপারে নারাজি আছে (যেমন - মিম্বরে ইমামে আলী কার্রামাল্লাহু ওয়াজহাহূ’র প্রতি লা’নত তথা অভিসম্পাত প্রথার প্রচলন), আবার যেহেতু এর পাশাপাশি কোনো সাহাবী (রা:)-কে অভিসম্পাত দেয়া ও হেয় করার বিরুদ্ধে উচ্চারিত সতর্কবাণীর বিষয়বস্তুতে পরিণত হওয়াকে এড়াতেও (আমরা) ইচ্ছুক? আরেক কথায়, তাঁকে ‘রাহিমাহুল্লাহ’ বলে একটা মধ্যম রাস্তা ধরা কেমন হবে? এই আপত্তির প্রতি কীভাবে উত্তর দেয়া যায়, যা’তে বিবৃত হয়: “হ্যাঁ, কোনো সাহাবী (রা:)-কে অবজ্ঞা করা বা হেয় প্রতিপন্ন করা হারাম বটে, কিন্তু তাহলে আমীরে মু’আবিয়া (রা:) কেন হযরত আলী (ক:)-এর সাথে এরকম (আচরণ) করেছিলেন? নিম্নের বিষয়গুলো কি সত্য? ১/ আমীরে মু’আবিয়া (রা:) হযরত ইমাম হাসান (রা:)-এর জনৈকা স্ত্রীকে প্রণোদিত করেছিলেন ইমাম সাহেব (রা:)-কে বিষ প্রয়োগের জন্যে, কিংবা তাঁর বেসালপ্রাপ্তিতে তিনি খুশি হয়েছিলেন? ২/ তিনি রিবা (সুদ)-এর কারবার করতেন, যার কারণে কথিত আছে যে হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা:)-এর মতো সাহাবাবৃন্দ (রা:) সিরিয়ায় বসবাস করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন? এবং ৩/ যেখানে কোনো সাহাবী (রা:)-কে অভিসম্পাত দেয়াই যানদাক্বা (ধর্মের প্রতি অন্তর্ঘাতমূলক শত্রুতা) সেখানে সাহাবাবৃন্দ (রা:)-এর কেউ কেউ কেন সার্বিকভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে ‘তালা’উন’ (অভিসম্পাত দান) পর্যন্ত চর্চা করেছিলেন? অধিকন্তু, কেউ যদি বলেন যে হযরত আলী (ক:) হযরত উসমান (রা:) হতেও আধ্যাত্মিকভাবে উচ্চপর্যায়ের (তবে সর্ব-হযরত আবূ বকর বা উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে নন), তাহলে তা কি সুন্নীয়তের গণ্ডিভুক্ত থাকবে, না গোমরাহী হবে? অথবা, যদি প্রশ্ন করা হয় হযরত উসমান (রা:) যে হযরত আলী (ক:)-এর চেয়ে আধ্যাত্মিকভাবে উচ্চ-মক্বামের, তার কী প্রমাণ বিদ্যমান? এমতাবস্থায় আশা করি এসব প্রশ্নের যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন। কতিপয় সাহাবা-এ-কেরাম (রা:)-এর কিছু কাজ সম্পর্কে (বইয়ে) পড়ে সত্যি বলতে কী, আমরা অশান্তি বোধ করছি। যেমন - পরস্পর পরস্পরকে লা’নত দান এবং যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া। আল্লাহ তাঁদের সবার প্রতি রাজি হোন, আমীন। ওয়া সাল্লাল্লাহু ’আলা সাইয়্যেদিনা মুহাম্মদ ওয়া সাল্লাম।
উত্তর: আলাইকুম আস্ সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আল্লাহ আপনারও মঙ্গল করুন। প্রথমতঃ আমরা আম্বিয়াবৃন্দ বা সাহাবা-মণ্ডলীর নাম উল্লেখ করার পর ‘রাহিমাহুল্লাহ’ বলি না, বরং যথাক্রমে ‘সাল্লাল্লাহু’ বা ’রাদ্বিয়াল্লাহু’ বলে থাকি। এটা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে থাকলে তা তারই ক্ষতি। ক্ষীণস্বরে প্রশংসা এখানে ‘মধ্যম রাস্তা’ নয়, বরঞ্চ তা ছদ্মাবরণে অবজ্ঞা প্রদর্শন-ই, যা ধর্ম/ঈমানদারির ঘাটতি প্রকাশক। দ্বিতীয়তঃ কোনো সাহাবী (রা:)-এর ব্যাপারে ‘তাঁর কিছু কাজে নারাজি’ প্রকাশ করার কোনো অনুমতি-ই নেই। বরঞ্চ প্রত্যেকেরই নিজ নিজ কাজের ব্যাপারে মনোযোগ দেয়া উচিত, যেটা কোনো সাহাবী (রা:)-এর জীবনের সামান্য একটি মুহূর্তের সমকক্ষ-ও নয়। তৃতীয়তঃ ‘কোনো সাহাবী (রা:)-কে অবজ্ঞা/হেয় প্রতিপন্ন করা হারাম হলে মু’আবিয়া (রা:) কেন হযরত আলী (ক:)-এর সাথে এরকম আচরণ করেছিলেন?’ - এই প্রশ্নের জবাবে আমরা আমাদের মুর্শীদ মওলানা শায়খ নাযিমউদ্দীন হাক্কানী (রহ:)-এর কথা উদ্ধৃত করবো, যেটা এক দশক আগেও আমরা উদ্ধৃত করেছিলাম; তিনি বলেন: “সিংহরা যখন পরস্পর লড়াই করে, তখন রাস্তার কুকুর চুপ থাকে।” উপরন্তু, ইমাম হাসান (রা:) তাঁর পিতার প্রতি আমীরে মু’আবিয়া (রা:)-এর অভিযোগ সম্পর্কে ওই ধরনের দশ লাখ আপত্তি উত্থাপনকারীর চেয়ে ঢের বেশি জানতেন, তবু তিনি তাঁর সাথে শান্তি স্থাপন করেন এবং তাঁর কাছে বায়া’ত/আনুগত্যের শপথ নেন, যা খোদ রাসূলুল্লাহ (দ:) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবং প্রশংসাও করেছিলেন। যে ব্যক্তি এর প্রতি আপত্তি করে, সে শ্রদ্ধা (ও এশক্ব-মহব্বতে)’র ছদ্মাবরণে ফিতনাবাজিতে লিপ্ত। চতুর্থতঃ হযরতে আমীরে মু’আবিয়া (রা:)-এর প্রতি যতো সীমা লঙ্ঘনের দোষারোপই করা হোক না কেন, আল্লাহতা’লা তাঁর প্রতি রাজি; কেননা মহানবী (দ:) স্বয়ং ঘোষণা করেছেন যে বদর ও হুনায়নের জ্বেহাদে অংশগ্রহণকারী সাহাবাবৃন্দ (রা:) সবাই বেহেশতী, আর হযরতে আমীরে মু’আবিয়া (রা:) হুনায়নের যুদ্ধে মুজাহিদ ছিলেন। পঞ্চমতঃ সাহাবা-এ-কেরাম (রা:)-এর একে অপরের প্রতি প্রয়োগকৃত ভাষার ব্যাপারটিতে মানুষের পক্ষে ওর প্রসঙ্গ বা প্রেক্ষিত বোঝার কোনো উপায়-ই নেই; আর যদি তারা বুঝতেও পারে, তবুও তাঁদের সমকক্ষ পর্যায়ে নিজেদের ভাবার মতো যোগ্যতাও তাদের নেই। অতএব, সাহাবাবৃন্দ (রা:)-কে কেউ বিচার করার চেষ্টা করাটা নিজস্ব ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রণা) ছাড়া কিছু নয়। সর্বোপরি, আল্লাহতা’লা তাঁর প্রিয়নবী (দ:)-এর জন্যে সাথী হিসেবে সাহাবা-এ-কেরাম (রা:)-কে পছন্দ করেন। আর তাঁরা প্রত্যেকেই হলেন এই উম্মতের প্রথম আউলিয়াবৃন্দ। তাঁদের কারো সম্মানহানির অপচেষ্টা প্রকৃতপ্রস্তাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (দ:)-এরই প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন বটে। এ কারণেই আহলে সুন্নাত তথা সুন্নী উলামায়ে কেরামের উপদেশ এক্ষেত্রে অমূল্য, আর তাঁরা সবাই বলেছেন: এই বিষয়টি হতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে নিজের ধর্মকে আপনারা হেফাযত করুন।
- আলহাজ্জ্ব জিবরীল হাদ্দাদ
হযরতে আমীরে মু’আবিয়া (রা:) সম্পর্কে ড: জি, এফ, হাদ্দাদের ভাষ্য
প্রশ্ন: সালামুন আলাইকুম, হে শায়খ হাদ্দাদ! আল্লাহতা’লা আপনার মঙ্গল করুন। হযরতে আমীরে মু’আবিয়া (রা:)-এর নাম উল্লেখের পরে ‘রাহিমাহুল্লাহ’ বলার যথার্থতা কতোটুকু, বিশেষ করে ’তারাদ্দি’র (ধর্মত্যাগের) বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে, যেহেতু তাঁর কিছু কাজের ব্যাপারে নারাজি আছে (যেমন - মিম্বরে ইমামে আলী কার্রামাল্লাহু ওয়াজহাহূ’র প্রতি লা’নত তথা অভিসম্পাত প্রথার প্রচলন), আবার যেহেতু এর পাশাপাশি কোনো সাহাবী (রা:)-কে অভিসম্পাত দেয়া ও হেয় করার বিরুদ্ধে উচ্চারিত সতর্কবাণীর বিষয়বস্তুতে পরিণত হওয়াকে এড়াতেও (আমরা) ইচ্ছুক? আরেক কথায়, তাঁকে ‘রাহিমাহুল্লাহ’ বলে একটা মধ্যম রাস্তা ধরা কেমন হবে? এই আপত্তির প্রতি কীভাবে উত্তর দেয়া যায়, যা’তে বিবৃত হয়: “হ্যাঁ, কোনো সাহাবী (রা:)-কে অবজ্ঞা করা বা হেয় প্রতিপন্ন করা হারাম বটে, কিন্তু তাহলে আমীরে মু’আবিয়া (রা:) কেন হযরত আলী (ক:)-এর সাথে এরকম (আচরণ) করেছিলেন? নিম্নের বিষয়গুলো কি সত্য? ১/ আমীরে মু’আবিয়া (রা:) হযরত ইমাম হাসান (রা:)-এর জনৈকা স্ত্রীকে প্রণোদিত করেছিলেন ইমাম সাহেব (রা:)-কে বিষ প্রয়োগের জন্যে, কিংবা তাঁর বেসালপ্রাপ্তিতে তিনি খুশি হয়েছিলেন? ২/ তিনি রিবা (সুদ)-এর কারবার করতেন, যার কারণে কথিত আছে যে হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা:)-এর মতো সাহাবাবৃন্দ (রা:) সিরিয়ায় বসবাস করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন? এবং ৩/ যেখানে কোনো সাহাবী (রা:)-কে অভিসম্পাত দেয়াই যানদাক্বা (ধর্মের প্রতি অন্তর্ঘাতমূলক শত্রুতা) সেখানে সাহাবাবৃন্দ (রা:)-এর কেউ কেউ কেন সার্বিকভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে ‘তালা’উন’ (অভিসম্পাত দান) পর্যন্ত চর্চা করেছিলেন? অধিকন্তু, কেউ যদি বলেন যে হযরত আলী (ক:) হযরত উসমান (রা:) হতেও আধ্যাত্মিকভাবে উচ্চপর্যায়ের (তবে সর্ব-হযরত আবূ বকর বা উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে নন), তাহলে তা কি সুন্নীয়তের গণ্ডিভুক্ত থাকবে, না গোমরাহী হবে? অথবা, যদি প্রশ্ন করা হয় হযরত উসমান (রা:) যে হযরত আলী (ক:)-এর চেয়ে আধ্যাত্মিকভাবে উচ্চ-মক্বামের, তার কী প্রমাণ বিদ্যমান? এমতাবস্থায় আশা করি এসব প্রশ্নের যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন। কতিপয় সাহাবা-এ-কেরাম (রা:)-এর কিছু কাজ সম্পর্কে (বইয়ে) পড়ে সত্যি বলতে কী, আমরা অশান্তি বোধ করছি। যেমন - পরস্পর পরস্পরকে লা’নত দান এবং যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া। আল্লাহ তাঁদের সবার প্রতি রাজি হোন, আমীন। ওয়া সাল্লাল্লাহু ’আলা সাইয়্যেদিনা মুহাম্মদ ওয়া সাল্লাম।
উত্তর: আলাইকুম আস্ সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আল্লাহ আপনারও মঙ্গল করুন। প্রথমতঃ আমরা আম্বিয়াবৃন্দ বা সাহাবা-মণ্ডলীর নাম উল্লেখ করার পর ‘রাহিমাহুল্লাহ’ বলি না, বরং যথাক্রমে ‘সাল্লাল্লাহু’ বা ’রাদ্বিয়াল্লাহু’ বলে থাকি। এটা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে থাকলে তা তারই ক্ষতি। ক্ষীণস্বরে প্রশংসা এখানে ‘মধ্যম রাস্তা’ নয়, বরঞ্চ তা ছদ্মাবরণে অবজ্ঞা প্রদর্শন-ই, যা ধর্ম/ঈমানদারির ঘাটতি প্রকাশক। দ্বিতীয়তঃ কোনো সাহাবী (রা:)-এর ব্যাপারে ‘তাঁর কিছু কাজে নারাজি’ প্রকাশ করার কোনো অনুমতি-ই নেই। বরঞ্চ প্রত্যেকেরই নিজ নিজ কাজের ব্যাপারে মনোযোগ দেয়া উচিত, যেটা কোনো সাহাবী (রা:)-এর জীবনের সামান্য একটি মুহূর্তের সমকক্ষ-ও নয়। তৃতীয়তঃ ‘কোনো সাহাবী (রা:)-কে অবজ্ঞা/হেয় প্রতিপন্ন করা হারাম হলে মু’আবিয়া (রা:) কেন হযরত আলী (ক:)-এর সাথে এরকম আচরণ করেছিলেন?’ - এই প্রশ্নের জবাবে আমরা আমাদের মুর্শীদ মওলানা শায়খ নাযিমউদ্দীন হাক্কানী (রহ:)-এর কথা উদ্ধৃত করবো, যেটা এক দশক আগেও আমরা উদ্ধৃত করেছিলাম; তিনি বলেন: “সিংহরা যখন পরস্পর লড়াই করে, তখন রাস্তার কুকুর চুপ থাকে।” উপরন্তু, ইমাম হাসান (রা:) তাঁর পিতার প্রতি আমীরে মু’আবিয়া (রা:)-এর অভিযোগ সম্পর্কে ওই ধরনের দশ লাখ আপত্তি উত্থাপনকারীর চেয়ে ঢের বেশি জানতেন, তবু তিনি তাঁর সাথে শান্তি স্থাপন করেন এবং তাঁর কাছে বায়া’ত/আনুগত্যের শপথ নেন, যা খোদ রাসূলুল্লাহ (দ:) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবং প্রশংসাও করেছিলেন। যে ব্যক্তি এর প্রতি আপত্তি করে, সে শ্রদ্ধা (ও এশক্ব-মহব্বতে)’র ছদ্মাবরণে ফিতনাবাজিতে লিপ্ত। চতুর্থতঃ হযরতে আমীরে মু’আবিয়া (রা:)-এর প্রতি যতো সীমা লঙ্ঘনের দোষারোপই করা হোক না কেন, আল্লাহতা’লা তাঁর প্রতি রাজি; কেননা মহানবী (দ:) স্বয়ং ঘোষণা করেছেন যে বদর ও হুনায়নের জ্বেহাদে অংশগ্রহণকারী সাহাবাবৃন্দ (রা:) সবাই বেহেশতী, আর হযরতে আমীরে মু’আবিয়া (রা:) হুনায়নের যুদ্ধে মুজাহিদ ছিলেন। পঞ্চমতঃ সাহাবা-এ-কেরাম (রা:)-এর একে অপরের প্রতি প্রয়োগকৃত ভাষার ব্যাপারটিতে মানুষের পক্ষে ওর প্রসঙ্গ বা প্রেক্ষিত বোঝার কোনো উপায়-ই নেই; আর যদি তারা বুঝতেও পারে, তবুও তাঁদের সমকক্ষ পর্যায়ে নিজেদের ভাবার মতো যোগ্যতাও তাদের নেই। অতএব, সাহাবাবৃন্দ (রা:)-কে কেউ বিচার করার চেষ্টা করাটা নিজস্ব ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রণা) ছাড়া কিছু নয়। সর্বোপরি, আল্লাহতা’লা তাঁর প্রিয়নবী (দ:)-এর জন্যে সাথী হিসেবে সাহাবা-এ-কেরাম (রা:)-কে পছন্দ করেন। আর তাঁরা প্রত্যেকেই হলেন এই উম্মতের প্রথম আউলিয়াবৃন্দ। তাঁদের কারো সম্মানহানির অপচেষ্টা প্রকৃতপ্রস্তাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (দ:)-এরই প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন বটে। এ কারণেই আহলে সুন্নাত তথা সুন্নী উলামায়ে কেরামের উপদেশ এক্ষেত্রে অমূল্য, আর তাঁরা সবাই বলেছেন: এই বিষয়টি হতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে নিজের ধর্মকে আপনারা হেফাযত করুন।
- আলহাজ্জ্ব জিবরীল হাদ্দাদ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন