ব্লগ সংরক্ষাণাগার

বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩

বাহ্ বাহ্, শিয়াদের জ্ঞানের বহর দেখো!

 

তাবেঈন হলেন সেই (পরবর্তী) মুসলিম প্রজন্ম যাঁরা প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবা (রা.)-বৃন্দকে অনুসরণ (তাবেদারী) করেছেন (তাঁরই সাক্ষাৎ না পেয়ে) এবং এভাবে (ধর্মীয়) শিক্ষা পরোক্ষভাবে [সাহাবা (রা.)-বৃন্দের মাধ্যমে] প্রাপ্ত হয়েছেন। - উইকিপিডিয়া। লিঙ্ক: https://en.wikipedia.org/wiki/Tabi%27un
এজিদী সেনারা কি কারবালার বিষয়টি সাহাবা কেরাম (রা.) থেকে শিক্ষা করেছিলো? তাঁদের (রা.) প্রতি কতো বড় অপবাদ এই সাহাবা-বিদ্বেষী শিয়াদের!



মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩

গাদীরে খুম: শিয়া অপযুক্তির খণ্ডন


-এডমিন

আমার নিয়মিত অনুবাদগুলোতে ফিরবো ভেবেছিলাম, কিন্তু ফেইসবুকে শিয়া গোষ্ঠী আমাদের প্রচারে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে বারবার অপযুক্তি পেশ করছে। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে ২ দিন আগে গণ্ডমূর্খদের কথিত একটি ‘ঈদে গাদীর’ অনুষ্ঠানে ২-৩ জন নারী-পুরুষ আবোল-তাবোল বকেছিলো। সুইডেনপ্রবাসী ড: সাহেব ওই মূর্খদের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, গাদীরে খুম সুন্নীদের, অজ্ঞ শিয়াদের হাতে এটিকে ছেড়ে দিয়েছেন সুন্নীরা। এরই ফলশ্রুতিতে নাকি এসব মূর্খ লোক কথা বলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। হায় রে যুক্তি! আমি নিচে আমার খণ্ডনমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করছি।

প্রথমতঃ গাদীরে খুম দিবসের বাহানায় যে শিয়া-চক্রই ‘ঈদে গাদীর’ পালন করে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তা আমি আমার লেখনীতে স্পষ্ট করেছি। আমি ১৯৭৩ সাল থেকে ধর্মীয় বইপত্র পড়া আরম্ভ করেছিলাম। সে সময় হতে (মানে বিগত ৫০ বছরে) দেশের কোথাও সুন্নী মুসলমানদের দ্বারা গাদীরে খুম মাহফিল অনুষ্ঠিত হতে আমি প্রত্যক্ষ করিনি। ইমামবাড়ার কথা বাদ দিন। ওইখানে মুষ্টিমেয় কিছু উর্দূভাষী লোক শিয়াবাদ চর্চা করতেন; আজো করেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, বড় বড় সুন্নী আলেম-উলামা কেউই গাদীরে খুম দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান করতেন না। যেসব দরবারের আওলাদ এখন এটির প্রসারে কোমর বেঁধে নেমেছেন, তাঁদের পুতঃপবিত্র পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে (১০০ বছর আগেও) এর সপক্ষে একটি নজিরও তাঁরা দেখাতে পারবেন কি না সন্দেহ! এই অপসংস্কৃতি সুন্নীদের নয়, বরং ইরানী শিয়াদের দুরভিসন্ধি। অতএব, যে বা যারা এটির প্রসারে উদ্যোগ নেয়, ফেইসবুকে এর পক্ষে পোষ্ট দেয়, তাদেরকে এর ছত্রছায়ায় ওই সব মূর্খদের উচ্চারিত আবোল-তাবোল কথার দায়ভার বহন করতে হবে!
দ্বিতীয়তঃ সত্যের কল বাতাসে নড়ে। ফেইসবুকে শিয়া মতবাদের প্রচার যে চলমান তা স্বীকার করেছেন আজহারী মৌ-লোভী। সুইডেনপ্রবাসী ড: সাহেবকে প্রদত্ত এক মন্তব্যে তিনি তাঁকেও দোষারোপ করেছেন। অথচ তাঁরা সবাই একই দোষে দুষ্ট। দেখুন তাঁর মন্তব্যের স্ক্রীনশট -



বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩

ছুপা/গোপন শিয়ার অপকৌশল


-এডমিন।

আজ অনলাইনে সক্রিয় আরেক সন্দেহভাজন সম্পর্কে আলোচনা করবো। সত্য তেতো, কিন্তু জ্ঞানের খাতিরে বলতে হয়। আমি যখন ২০১৯ সালের শেষভাগে ফেইসবুকে ‘সুন্নী দৃষ্টিকোণ হতে গাদীরে খুম-সম্পর্কিত হাদীসের বিশ্লেষণ’ শীর্ষক বইটি ধারাবাহিক পোষ্টে প্রকাশ আরম্ভ করি, তখন এই আজহারী মৌ-লোভী ও তাঁর সহযোগীরা আমার একটি প্রকাশিত শিয়া-বিরোধী বইয়ের বিরুদ্ধে স্ক্রীনশট ধোঁকাবাজিতে লিপ্ত হন। এই মৌ-লোভী আমার মেসেঞ্জার বক্সে এসে আমীরে মু’য়াবিয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর ব্যাপারে কাফফে লিসান তথা নিশ্চুপ/সুকুত থাকতে বলেন (নোট: আমীরে মুয়াবিয়া রা.-এর পক্ষে জবাব বইটির অনুবাদ তখন আরম্ভ হয়েছিলো)। বস্তুতঃ নিচের (২য়) স্ক্রীনশটেও ওই সাহাবী (রা.) সম্পর্কে তাঁর এলার্জি দৃশ্যমান। অথচ কাফফে লিসান শুধু সাহাবা (রা.)-বৃন্দের মধ্যকার মতভেদের ক্ষেত্রেই প্রয়োগযোগ্য; তাঁদের ফযীলত বর্ণনার ক্ষেত্রে নয়। এ ব্যাপারে জানতে উপাধ্যক্ষ মওলানা এ,কে,এম, ফজলুল হক সাহেবের এতদসংক্রান্ত আলোচনার সিরিজ ভিডিওগুলো দেখার বিনীত অনুরোধ জানাই।
নিচের ২য় স্ক্রীনশটে মৌ-লোভী আজহারী দাবি করেছেন কোনো সুন্নী ইমাম বিগত ইসলামী ইতিহাসে আমীরে মু’য়াবিয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর শান-মান প্রকাশক অনুষ্ঠান করেননি। অথচ হাদীসের ইমামবৃন্দ (রহ.) তাঁর ফযীলত বর্ণনায় নিজেদের হাদীসগ্রন্থে আলাদা আলাদা অধ্যায় রচনা করেছেন। এটাই তো (শরঈ) ফাউন্ডেশন তথা ভিত্তি রচনা করেছে। ধর্মীয় বইয়ে প্রশংসা করতে পারলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কেন নয়? কেন এই এলার্জি? এটা শিয়ার আলামত নয় কি?
আজহারী মৌ-লোভী ওই শিয়া আলামত ছুপাবার তথা লুকোবার অসৎ উদ্দেশ্যে ঈদে গাদীর শব্দের মধ্যে ঈদ শব্দটি বাদ দিতে চান। এটা স্রেফ তাকিয়াবাজি বা ধোঁকাবাজি! সুন্নী মুসলমান সমাজকে ধাপ্পা দেয়ার শয়তানী ফন্দি! আমি ইতিপূর্বে একটি পোষ্টে বলেছিলাম, অনলাইনে অচেনা কারো কথায় বিশ্বাস করবেন না। সুন্নী আলেম-উলামা যাঁদেরকে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে বিশ্বস্ত বলে চেনেন-জানেন, শুধু তাঁদের ধর্মীয় পরামর্শই গ্রহণ করবেন। কেননা আজকাল মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে এজেন্ডাধারী সেবাদাস অনেক মৌ-লোভীর আবির্ভাব ঘটছে। এরা ইরানী অথবা সৌদি উটের দুধ ও দুম্বার গোস্তের (মানে পেট্রো-ডলারের) কারবারি; শিয়া মোত’আ ললনাদের সরবরাহকারী! অতএব, সাবধান! এসব ঈমান হরণকারী বদমাইশ লোকের চক্রান্তের জালে আটকা পড়বেন না।
শিয়া ঈদে গাদীর নিয়ে যেহেতু অনেক লেখালেখি চলছে, সেহেতু এ বিষয়ে এখানে আর লিখলাম না। আমার এতদসংক্রান্ত পোষ্টগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখুন। ধন্যবাদ।


*সমাপ্ত*

‘আহলে বাইত (রা.) ও আসহাব (রা.)-বৃন্দের প্রতি ভক্তিতে মুক্তি’ শীর্ষক বই

 

-এডমিন

শিরোনামে উল্লেখিত বইটি নিয়ে অনলাইনে সক্রিয় শিয়াচক্র ২০১৯ সাল থেকে হৈচৈ করছে। বইটির অনুবাদক আমি অধম হলেও প্রকাশক সাঞ্জেরী পাবলিকেশনের মওলানা মুহাম্মদ আবূ তৈয়ব চৌধুরী। এতে সম্পাদনা করেন মওলানা এ,এ, জামেউল আখতার চৌধুরী ও সাঞ্জেরী পাবলিকেশনের সুযোগ্য সম্পাদক প্যানেলের আলেম-উলামা। বইটি প্রকাশ হয় চট্টগ্রাম থেকে ২০১৭ সালের শেষভাগে।
শিয়াচক্র ফেইসবুকে স্ক্রীনশট ধোঁকাবাজি দ্বারা এ বইয়ের বিরুদ্ধে আহলে বাইত (রা.)-এর প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশের অভিযোগ উত্থাপন করেছে। অথচ এতে কেবল ইতিহাসের রেফারেন্স-ই পেশ করা হয়েছিলো। বস্তুতঃ এগুলো কোনো ফতোয়া ছিলো না; শিয়া ও দেওবন্দীদের ইতিহাস বই হতে রেফারেন্স ছিলো যা নিয়ে শিয়াচক্র হৈচৈ বাধিয়েছে।
সাঞ্জেরী পাবলিকেশনের সম্পাদনা পর্ষদের প্রধান মওলানা এ,এ, জামেউল আখতার চৌধুরী শিয়া গোষ্ঠীর অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে তাঁর ফেইসবুক আইডি হতে আরেকজনের মন্তব্য সেকশনে নিজের দায় এড়িয়ে বইটির সম্পাদনা দেখেননি বলে মন্তব্য করেন। অথচ তাঁর নাম বইটিতে সম্পাদক হিসেবে শোভা পাচ্ছে।
অতএব, এ অভিযোগের জবাবে আমার বক্তব্য হলো, প্রকাশক আবূ তৈয়ব চৌধুরী ও তাঁর সম্পাদনা পর্ষদ দীর্ঘদিন যাবৎ এ কাজে জড়িত ছিলেন। তাঁরা সবাই জবরদস্ত সুন্নী আলেম। আমি বইটি অনুবাদ করে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম আর তাঁরা এটাকে সম্পাদনা করেছিলেন। আমি বইটিকে চূড়ান্ত রূপদানের দায়িত্ব তাঁদের কাঁধেই ন্যস্ত করেছিলাম। অতঃপর কেউ শত্রুদের অনৈতিক চাপে পড়ে নিজ দায়িত্ব পালনের কথা অস্বীকার করলে তাঁর কর্মকাণ্ড স্ববিরোধী বলেই প্রমাণিত হবে। মওলানা জামেউল আখতার চৌধুরী যদি সত্যিসত্যি সম্পাদনায় জড়িত না থাকেন তাহলে তাঁর নাম কেন বইয়ে সম্পাদক হিসেবে শোভা পাচ্ছে? তিনি এর বিরুদ্ধে কী কী আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন? কোথায় কোন্ কোর্টে প্রকাশকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন? ফেইসবুকে মন্তব্য করলেই দায়িত্ব খালাস হবে বলে মনে করেন কি?

শেষ কথা

আসলে আমি বইটির অনুবাদক মাত্র। চূড়ান্ত রূপদান করেন সাঞ্জেরী পাবলিকেশনের সুযোগ্য আলেম-উলামার সম্পাদনা পর্ষদ। কিন্তু শিয়াচক্র মূল বিদেশি লেখক ও সম্পাদকমণ্ডলীকে দোষারোপ না করে আমাকেই অর্থাৎ বঙ্গানুবাদককেই ফেইসবুকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে চলেছে। এর কারণ সহজে অনুমেয়। আমি মহাভ্রান্ত শিয়া মতবাদের বিরুদ্ধে কলম ধরেছি। এটাই প্রকৃত ঘটনা। বিশেষ করে আমি যখন শিয়া মতবাদের খণ্ডনে কোনো আন্তর্জাতিক আলেমের লেখা বই অনলাইনে অনুবাদ আরম্ভ করি, তৎক্ষণাৎ তারা এ কাজে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
May be an image of text



সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩

মু’মিন হলেই তো ঈদ! ঈমানদার না হলে ঈদ কীভাবে?


-এডমিন

ওরে বেয়াক্কেল মৌ-লোভী, ঈদে গাদীর শিয়া সম্প্রদায়ের ঈদ, সুন্নীদের ঈদ নয়! আর সুন্নী ইমাম-আইয়েম্মাবৃন্দ শরঈ দলিলভিত্তিক অসংখ্য কিতাব লিখে প্রমাণ করেছেন যে শিয়াচক্র বাতীল তথা পথভ্রষ্ট দল। অতএব, আমরা ঈমানী তাকিদে তাদের কোনো কিছুর সাথে সাযুজ্যপূর্ণ কোনো কাজের অনুসরণ করি না। এর মজবুত দলিল হচ্ছে আল্লাহর কালাম শরীফ, যা’তে তিনি ঘোষণা করেছেন:

«أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِيْنَ آمَنُوْا أَنْ تَخْشَعَ قُلُوْبُهُمْ لِذِكْرِ اللهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ الْحَقِّ، وَلَا يَكُوْنُوْا كَالَّذِيْنَ أُوْتُوْا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ الْأَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوْبُهُمْ، وَكَثِيْرٌ مِّنْهُمْ فَاسِقُوْنَ».

অর্থ: ঈমানদারদের জন্য কি এখনো ওই সময় আসেনি যে, তাদের অন্তর ঝুঁকে পড়বে আল্লাহর স্মরণ ও ওই সত্যের জন্য, যা অবতীর্ণ হয়েছে? এবং তাদের মতো হয়ো না, যাদেরকে পূর্বে (আসমানী) কিতাব দেওয়া হয়েছে, অতঃপর তাদের ওপর সময়সীমা দীর্ঘায়িত হয়েছে। সুতরাং তাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে ফাসিক্ব। [নূরুল ইরফান, ৫৭/১৬]

প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:

إِذَا كَانَ لِأَحَدِكُمْ ثَوْبَانِ فَلْيُصَلِّ فِيْهِمَا، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ إِلاَّ ثَوْبٌ وَاحِدٌ فَلْيَتَّـزِرْ بِهِ، وَلَا يَشْتَمِلْ اشْتِمَالَ الْيَهُوْدِ.

অর্থ: ‘‘কারোর দু’টি কাপড় থাকলে সে যেনো উভয়টি পরেই নামায পড়ে। আর যদি কারোর একটি মাত্র কাপড় থাকে তাহলে সে যেনো কাপড়টিকে নিম্ন-বসন হিসেবেই পরিধান করে। ইহুদিদের মতো সে যেনো কাপড়টিকে পুরো শরীরে পেঁচিয়ে না পরে।” [আবূ দাউদ ৬৩৫]

ওপরোক্ত দলিলগুলোর (কিয়াসের) ভিত্তিতেই সুন্নী মুসলমান আলেম-উলামা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বাতীল শিয়াদের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ ধর্মীয় কোনো কাজে শরীক হওয়া যাবে না। গাউসে পাক বড়পীর সাহেব কেবলা (রহমতুল্লাহি আলাইহি) তাঁর একটি কিতাবে শিয়াদের অনেক কাজকে ইহুদীদের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ বলে প্রমাণ করেছেন।

এবার আসুন আক্বলী তথা বুদ্ধিবৃত্তিক জবাবে। ঈদে গাদীর নাকি ‘ঈদে মুসার্রত।’ খুশি-আনন্দ অন্তরে দেখা দিলেই নাকি ঈদ মানাতে হবে। এতে শরঈ দলিলের কোনো প্রয়োজনই নেই। তো বিয়ে করতে গেলে খুশি-আনন্দ ও সুখ দেখা দেয়, বাচ্চা হলেও সুখ, চাকরিতে প্রমোশান বা ব্যবসায় লাভ হলেও সুখ। প্রতিটা ক্ষণই তাহলে ঈদ মানানো দরকার, কী বলেন? জাহেল আর কাকে বলে!

শেষ কথা হলো, মু’মিন হলেই তো ঈদ! ঈমানদার না হলে ঈদ কীভাবে? আর মু’মিনের প্রতিটি কাজই শরঈ দলিলসমর্থিত। [জরুরি নোট: মওলিদ প্রথাটি শিয়া গোষ্ঠী প্রবর্তন করেনি; এর প্রমাণ স্বয়ং প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে এসেছে। তিনি প্রতি সোমবার রোযা রেখে তা পালন করতেন]

*সমাপ্ত*



শনিবার, ১ জুলাই, ২০২৩

*এবারের হজ্জ্বে ইরানীদের ‘দোয়া-এ-কুমাইল’ পাঠ ও অনলাইনে সক্রিয় সুইডেনপ্রবাসী এক শিয়া ড: সাহেবের লম্ফঝম্প*

 

-এডমিন



আবারো অনলাইনে নিত্যনতুন শিয়া ফিতনার উদ্ভব হয়েছে! অধিকাংশ সুন্নী সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে এই তথাকথিত দোয়ার কোনো নাম-গন্ধ না থাকলেও ইরানে এটা বিরাজমান। এবারের হজ্জ্বে মহাভ্রান্ত সৌদি নজদী-ওহাবীরা তাদের চরম পথভ্রষ্ট ইরানী রাফেযী-শিয়া ভাইদের সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছে এবং তাদের নিজস্ব বাতীল রসম-রেওয়াজ পালনের অনুমতি দিয়েছে। এটাই স্বাভাবিক, কেননা হাদীসে এসেছে সমস্ত বাতীল একজোট। আশ্চর্য লাগে, কিছুদিন আগেও এই দুটি দেশ প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত ছিলো। এখন আন্তর্জাতিক বা ভূ-রাজনৈতিক কৌশলস্বরূপ মার্কিন ডলারের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে দাঁড়াবার স্বার্থে ধর্মীয় আকীদাগত পার্থক্য ভুলে গিয়েছে তারা! আমরা যারা সুন্নী মুসলমান তারা কিন্তু আকীদাগত বিষয়ে ছাড় দেই না! রাজনৈতিক জোট হলেও নয়! ধর্মীয় মূল্যবোধ বজায় রেখেই সন্ধিচুক্তি!

মজার ব্যাপার হলো, অনলাইনে সক্রিয় সুইডেনপ্রবাসী এক শিয়া-রাফেযী ড: সাহেব হজ্জ্বে ইরানী শিয়া গোষ্ঠীর দোয়া পাঠ নিয়ে সরব হয়েছেন। তিনি বাতীল সৌদি আরবের প্রশংসাও করেছেন। অথচ কিছুদিন আগেও তিনি সৌদি ওহাবীদেরকে নাসেবী-খারেজী বলে গালি-গালাজ করতেন! আমরা আবারো বলছি, এই দোয়া ইরানী শিয়ারাই পাঠ করে থাকে, সুন্নীপ্রধান মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে এর কোনো চর্চাই হয় না। ওই চামচার এই গুণকীর্তন দেখে সহজে বোঝা যায় তিনি কোন্ ঘরানার পাবলিক; কোন্ ঘাটের তরণী! বলা বাহুল্য যে, বেশির ভাগ সুন্নী তরীকতী সিলসিলা এসেছে হয়রত আলী (ক.) হতে; তাঁর থেকে ইমাম হাসান (রা.) অথবা ইমাম হুসাইন (রা.); অতঃপর ইমাম যাইনুল আবেদীন (রহ.); তাঁর পরে ইমাম বাকের (রহ.); অতঃপর ইমাম জা’ফর সাদিক (রহ.); এরপর ইমাম মূসা কাযিম (রহ.); অতঃপর ইমাম আলী রেযা (রহ.) প্রমুখ আহলে বাইত। শেষোক্ত জনের পরে বিভিন্ন বুযূর্গানে দ্বীন (আহলে বাইত বা অ-আহলে বাইত) বিভিন্ন সিলসিলায় মানুষদেরকে তরীকতী দীক্ষা দেন। খাঁটি সুন্নী তরীকাহ-গুলোর এটাই হচ্ছে সিলসিলার গোড়া।

অতএব, ইরানী বিরিয়ানীর প্রভাবদুষ্ট এ অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হবার জন্যে আমি সুন্নী মুসলমান সমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।

*সমাপ্ত*

বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩

*কুর’আনে উক্ত ’উম্মীঈন’ কারা?*


-এডমিন
কুর’আন ৬২/২ আয়াতোক্ত ‘উম্মীঈন’ শব্দটির বিশুদ্ধ তাফসীর পাওয়া যায় কুর’আন ৩/২০ আয়াতে। আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন - فَإنْ حَآجُّوكَ فَقُلْ أَسْلَمْتُ وَجْهِيَ للَّهِ وَمَنِ ٱتَّبَعَنِ وَقُلْ لِّلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلأُمِّيِّينَ أَأَسْلَمْتُمْ فَإِنْ أَسْلَمُواْ فَقَدِ ٱهْتَدَواْ وَّإِن تَوَلَّوْاْ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ ٱلْبَلَٰغُ وَٱللَّهُ بَصِيرٌ بِٱلْعِبَادِ - “অতঃপর হে মাহবূব! যদি তারা (মক্কার কুফফার) আপনার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়, তবে বলে দিন, ‘আমি আপন চেহারা আল্লাহর সামনে অবনত করেছি এবং যারা আমার অনুসারী হয়েছে;’ আর কিতাবী সম্প্রদায় ও উম্মী-ইউনা লোকদের বলে দিন, ‘তোমরা কি গর্দান অবনত করেছো?’ সুতরাং তারা যদি গর্দান অবনত করে থাকে, তবেই তো সঠিক পথ পেয়ে গেছে। আর যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে (হে হাবীব) আপনার কর্তব্য তো এই নির্দেশ পৌঁছে দেয়া মাত্র। এবং আল্লাহ বান্দাদেরকে দেখছেন” [তাফসীরে নূরুল এরফান]।
লক্ষ্য করুন, (ঐশী) কিতাবী তথা ইহুদী/খৃষ্টান সম্প্রদায় এবং ‘উম্মীঈন’ তথা অ-ইহুদী/আরব জাতি সম্পর্কে আল্লাহ পাক (তাঁর সামনে) গর্দান অবনত করার অর্থাৎ আত্মসমর্পিত হবার কথা বলেছেন। তাঁরা তা করলে সঠিক পথপ্রাপ্তির কথাও তিনি এখানে বলেছেন। অতএব, এই আয়াতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, আয়াতে উল্লেখিত কিতাবী (ইহুদী/খ্রীষ্টান) একদিকে, আর উম্মীঈন অপর দিকে, দুটো স্বতন্ত্র জাতিগোষ্ঠী যাঁদের উভয় প্রজাতিই আল্লাহর প্রতি সমর্পিত হলে নাজাত পাবেন।
অতঃপর ফেইসবুক লাইভে যারা কুর’আন ৬২/২ আয়াতে উক্ত উম্মীঈন শব্দটিকে ধর্মীয় ক্ষেত্রেই নিরক্ষর বলে অপব্যাখ্যা করছে তাদের প্রতি আমার প্রশ্ন হলো, কুর’আন ৬২/২ আয়াতে উম্মীঈনের অর্থ যদি “ধর্মীয় ক্ষেত্রে নিরক্ষর” বলে ধরা হয়, তাহলে আমার উদ্ধৃত কুরআন ৩/২০ আয়াতে উক্ত কিতাবী (ইহুদী/খ্রীষ্টান) ও উম্মীঈন দুটো জাতিরই মধ্যে যারা আল্লাহর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাদের সবাইকে ‘উম্মীঈন’ বলে আখ্যা দেয়া হলো না কেন? আমরা জানি, ধর্মীয় ক্ষেত্রে জ্ঞানহীনতাকে কুর’আন মজীদে ‘জিহালত’/মূর্খতা, অন্তরের ব্যাধি, অন্ধকার, জুলূম ইত্যাদি শব্দ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। আল্লাহ পাক কখনো ’উম্মীঈন’ অভিব্যক্তিটি এক্ষেত্রে ব্যবহার করেননি। আফসোস স্রেফ তাদেরই জন্যে, যারা একটা ভুল ঢাকতে ফেইসবুক লাইভে এসে ভুলের সাগরে আরো ডুবে যাচ্ছে!
*সমাপ্ত*