প্রকাশক: মসজিদুল হক্ব-ডট-কম
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রাসূলিহিল করীম
আম্মা বা’আদ।
ইমাম শিহাবউদ্দীন আহমদ ইবনে হাজর হায়তামী মক্কী শাফেঈ (বেসাল: ৯৭৪ হিজরী) - রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর বিশ্বনন্দিত - النِّعْمَةُ الْكُبْرىٰ عَلَى الْعَالَمِ فِيْ مَوْلِدِ سَيِّدِ وَلَدِ آدَم - “আদম সন্তানপ্রধান প্রিয়নবী (ﷺ)-এর ধরাধামে শুভাগমনের মাঝে আল্লাহতায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ” শীর্ষক গ্রন্থে ইসলামের সত্য-সঠিক পথপ্রদর্শক চার খলীফা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর বাণীসম্বলিত বর্ণনা উদ্ধৃত করেন:
قَالَ اَبُوْ بَکْرٍ رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ: مَنْ اَنْفَقَ دِرْھَمًا عَلٰی قِرَاءَۃِ مَوْلِدِ النَّبِیِّ صَلَّی اللّٰہُ عَلَیْہِ وَسَلَّمَ کَانَ رَفِیْقِیْ فِیْ الْجَنَّۃِ
অর্থ: খলীফা হযরতে আবূ বকর সিদ্দীক্ব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী (ﷺ) পাঠ তথা যিকির (সূরা এনশারাহ, ৪ আয়াত) পালনে এক দিরহাম ব্যয় করেন, তিনি বেহেশতে আমার বন্ধু হবেন।” [নে’মাতুল কুবরা, পৃষ্ঠা-৭]
وَقَالَ عُمَرُ رَضِیَّ اللّٰہُ عَنْہُ: مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِیِّ صَلَّی اللّٰہُ عَلَیْہِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَحْیَا الْاِسْلَامَ
অর্থ: খলীফা হযরতে উমর ফারূক্ব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: ”যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী (ﷺ)-কে সম্মান করেন, নিশ্চয় তিনি দ্বীন-ইসলামকে হায়াত দান করেন।” [প্রাগুক্ত, ৭ পৃষ্ঠা]
وَقَالَ عُثْمَانُ رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ: مَنْ اَنْفَقَ دِرْھَمًا عَلٰی قِرَاءَۃِ مَوْلِدِ النَّبِیِّ صَلَّی اللّٰہُ عَلَیْہِ وَسَلَّمَ فَکَاَنَّمَا شَھِدَ غَزْوَۃَ بَدْرٍ وَّ حُنَیْنٍ
অর্থ: খলীফা হযরতে উসমান যিন্নূরাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী (ﷺ)-এর যিকিরে এক দিরহাম ব্যয় করেন, তিনি বদর ও হুনাইনের জ্বিহাদে শরীক হওয়ার মর্যাদা লাভ করেন। [প্রাগুক্ত, ৭-৮ পৃষ্ঠা]
وَقَالَ عَلِیٌّ رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ وَکَرَّمَ اللّٰہُ وَجْھَہٗ : مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِیِّ صَلَّی اللّٰہُ عَلَیْہِ وَسَلَّمَ وَکَانَ سَبَبًا لِّقِرَائَتِہٖ لَا یَخْرُجُ مِنَ الدُّنْیَا اِلَّا بِالْاِیْمَانِ وَ یَدْخُلُ الْجَنَّۃَ بِغَیْرِ حِسَابٍ
অর্থ: খলীফা হযরতে আলী মওলা (কার্রামাল্লাহু ওয়াজহাহু) বলেন: “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী (ﷺ)-কে শ্রদ্ধা করেন, তাঁর জন্যে মীলাদুন্নবী (ﷺ)-এর যিকির পৃথিবী থেকে ঈমান সহকারে ইন্তেক্বাল ও বিনা জবাবদিহিতে বেহেশতে প্রবেশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।” [প্রাগুক্ত, ৮ পৃষ্ঠা]
প্রশ্ন
ইমাম ইবনে হাজর হায়তামী মক্কী শাফেঈ (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-এর "আন-নে'মাতুল-কুবরা’ 'আলাল-আলম ফী মওলিদে সাইয়্যেদে ওয়ালাদে আদম" শীর্ষক বইতে মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ফজীলত সম্পর্কে চারজন সঠিক পথপ্রদর্শক খলীফার বক্তব্য কি স্রেফ বানোয়াট? আপনি কি এগুলো কোনো বইতে দেখেছেন বা কোনো পুণ্যাত্মা পূর্বসূরীর কাছ থেকে শুনেছেন?
উত্তর
ইমাম ইবনে হাজর হায়তামী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-এর ’আন্-নে'মাতুল কুবরা’য় লিপিবদ্ধ মীলাদ শরীফ সম্পর্কে সর্ব-হযরত আবূ বকর, উমর, উসমান এবং আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম)-এর বক্তব্য গবেষণা ছাড়া নিজ হতে বানোয়াট হিসেবে চিহ্নিত করার এখতেয়ার আমার নেই। কেননা এটা তাদেরই পথ, যারা তাদের নিজস্ব বুদ্ধিবিবেচনা ও জ্ঞানের স্তরকে চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করে এবং যারা কিছু বইতে এটা খুঁজে না পেয়ে দ্রুত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে কোনো বইতে এর উল্লেখ করা হয়নি। মুহাদ্দেসীন তথা হাদীসবিদ উলামা বেশিরভাগ হাদীস লিপিবদ্ধ করেছেন, কিন্তু এমন অনেক হাদীস আছে যা আউলিয়া, কাশফ (আধ্যাত্মিক অন্তর্দৃষ্টি)-সম্পন্ন পুণ্যাত্মাবৃন্দ উল্লেখ করেছেন, অথচ মুখাররিজীন (তথা হাদীসের ইসনাদ অনুসন্ধান ও গবেষণাকারী উলামা)-এর কাছে সেগুলো সম্পর্কে কোনো ধারণা বা হদিস নেই, যা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে মাসানিদ (মুসনাদ সঙ্কলনের বহুবচন), মা'আজিম (মু'জাম সঙ্কলনের বহুবচন), সিহাহ (সহীহ সঙ্কলনের বহুবচন) এবং সুনানে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সমস্ত হাদীস সম্পূর্ণরূপে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। কিছু হাদীস এসব সঙ্কলন থেকে বাদ পড়েছে। নবী পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম)-বৃন্দের বাণী/বক্তব্যের ক্ষেত্রেও একই কথা, যা সংকলিত হয়নি। তাই এখন যদি কোনো নির্ভরযোগ্য এবং মহান আলেম এগুলো লিপিবদ্ধ করেন, তবে তা তাঁরই কর্তৃত্বে এবং তিনি তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, এটা তাঁদের প্রতি আরোপ করা এবং তাঁদের প্রতি আস্থা রাখা যে নিশ্চয় এই বর্ণনার ভিত্তি রয়েছে। এটাকে জাল বলে চিহ্নিত করা আমার ক্ষমতা ও এখতেয়ার-বহির্ভূত। ইমাম ইবনে হাজর হায়তামী মক্কী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) এটা লিখেছেন এবং তিনি অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য এবং (হাদীস যাচাই-বাছাইয়ে) সতর্ক এক জ্ঞান বিশারদ, তাই অবশ্যঅবশ্য এর কোনো ভিত্তি রয়েছে। এটাকে বানোয়াট বলা ওহাবী এবং গায়রে মুকাল্লিদদের কুটিল মতবাদ। আজকাল আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাশ করা অনেক নতুন আলেম সাধারণত অসংখ্য হাদীসকে "নিজেরা খুঁজে না পাওয়ার" ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করে থাকেন। তাঁরা এর উৎসে পৌঁছুনোর অভাবকে একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করেন। আরেক কথায়, তাঁরা তাঁদের জ্ঞানের অভাবকে জ্ঞানের অনুপস্থিতি হিসাবে বিবেচনা করেন, অথবা রেফারেন্সের অনুপস্থিতিকে অনস্তিত্বশীল এমন কিছুর উল্লেখ হিসেবে গ্রহণ করেন। এটা তাঁদের বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতার প্রকৃতির কারণে। তাঁদের অবশ্যই জানতে হবে তাঁরা কী করছেন!
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আমাদের মহান ইমামবৃন্দ যা-ই লিখেছেন, সঠিক প্রমাণ ও গবেষণা ছাড়া তা উপেক্ষা করার সাহস আমাদের নেই।
এ প্রসঙ্গে আমি নিম্নের হাদীসটি বর্ণনা করতে চাই:
اَصْحَابِیْ کَالنُّجُوْمِ بِاَیِّھِمْ اِقْتَدَیْتُمْ اِھْتَدَیْتُمْ
অর্থ: আমার সাহাবীরা তারকাতুল্য, তোমরা তাদের যে কাউকে অনুসরণ করলে হেদায়েত (তথা সঠিক পথের দিশা) পাবে।
হাদীসশাস্ত্রবিদ উলামা এই হাদীসের (মানে এর সনদের) অনেক সমালোচনা করেছেন। তাঁদের বেশিরভাগের মতে, এই হাদীসটি কোনো কিছুর (তথা ভিত্তির) উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। হাদীসের মহান জ্ঞান বিশারদ হিসেবে ধারণাকৃত ব্যক্তি, এবং কখনো কখনো এমন কী উলামায়ে কেরামও সেগুলোর উল্লেখ করেছেন; যেমন ইবনে হাজম, যিনি নিজেকে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত থেকে অনেক দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছিলেন, যদিও কিছু উলামা এখনো তাঁর মতামত গ্রহণ করেন। একই ইবনে হাজম এই হাদীসটিকে জাল বলে চিহ্নিত করেছেন এবং আমাদের উলামা এমন কী তা উদ্ধৃত করেছেন এ মর্মে যে, এই হাদিসটি জাল, যেহেতু ইবনে হাজম এটাকে জাল হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছেন। এই বিষয়ে আরো অনেক হাদীস-বিদ্বানের মতামত উল্লেখ করা হয়েছে; যেমন আবু যুরআ, ইবনে আদী প্রমুখ। আমি এই বিষয়ে "আসহাবী কান্নুজূম…ইহতাদাইতুম" শিরোনামে একটি থিসিস লিখেছি। আমি নিরূপণ করেছি যে অনেক সময় মুহাদ্দিসীন উলামা একটি বর্ণনাকে জাল হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছেন, কেননা তাঁরা এর সনদ খুঁজে পাননি; কিন্তু তাঁদের (উদ্দেশ্যকৃত) অর্থ এই নয় যে আসলে এমন কোনো হাদীসই নেই। এটাকে ভুল বুঝে অন্ধ হয়ে কিছু নতুন পণ্ডিত এই হাদীসগুলোকে জাল বলে আখ্যা দেন; কারণ তাঁরা স্রেফ মুহাদ্দিসীন-সূত্রে এর উৎস খুঁজে পাননি। এর কারণ হলো হাদীসের পরিভাষা এবং হাদীস-বিশারদদের পদ্ধতি সম্পর্কে তাঁদের অজ্ঞতা। এটা তাঁদের নিজস্ব চিন্তাভাবনার বানোয়াট রূপ। লোকেরা এই হাদীসটিকে জাল বলে অভিহিত করেছেন এবং এর সমস্ত বর্ণনার ইসনাদকে দুর্বল বলে শ্রেণিবদ্ধ করেছেন; কিন্তু মুহাদ্দিস পণ্ডিতদের মধ্যে এর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা এবং তাঁরা কোনো আপত্তি ছাড়াই এটাকে গ্রহণ করার ব্যাপারটা এটার অন্যতম শক্তি, আর এই হাদীসের যে একটা ভিত্তি রয়েছে, তাই এতে প্রতিভাত হয়।
একইভাবে, ইমাম ইবনে হাজর হায়তামী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-এর ’আন্-নে'মাতুল কুবরা’ গ্রন্থে তিনি যা লিখেছেন, উলামা কেরাম এটাকে কোনো আপত্তি ছাড়াই গ্রহণ করে আসছেন। অতএব, এটাকে জাল বলা অযৌক্তিক। উলামাদের মধ্যে এর গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করে যে এর অবশ্যই একটি ভিত্তি রয়েছে।
সমাপ্ত
মূল উর্দূ অডিও টেপ লিঙ্ক: https://jamiaturraza.com/session/20Feb11/23.mp3
বঙ্গানুবাদকের প্রাসঙ্গিক অথচ তীর্যক মন্তব্য
আচ্ছা মিয়ারা, যারা হযরত ইমাম ইবনে হাজর (রহ.)-এর বিরোধিতাকারী, তোমরা বলো তো - প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বেলাদত/মীলাদ তথা ধরাধামে শুভাগমন না হলে তোমরা কি ইসলামী শরীয়ত তথা বিধিবিধান পেতে? শরীয়তের দলিল কুর’আন, হাদীস ইত্যাদি পেতে? কোথায় পেতে হাদীসের ইসনাদ আর তোমাদের এতদসংক্রান্ত ধর্মীয় পণ্ডিতি? মিয়ারা, তোমরা আউলিয়া যাঁরা খোদার নৈকট্যপ্রাপ্ত, তাঁদের না চিনে তাঁদের কাশফের তথা দিব্যদৃষ্টিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছো, অথচ কুর’আন মজীদেই সূরাহ কাহাফের ৬৫-৮২ আয়াতে পয়গাম্বর মূসা (আলাইহিস্ সালাম) ও খিজির (আলাইহিস্ সালাম)-এর ঘটনার মধ্যে আল্লাহতায়ালা দৃষ্টান্ত রেখে দিয়েছেন কোন্ পথ নিতে হবে। খিযির (আলাইহিস্ সালাম) যা যা করেছিলেন, তা কোন্ শরঈ দলিলের ভিত্তিতে করেছিলেন বলতে পারবে কি? কীই বা তার ‘ইসনাদ’ ছিলো? তখন ছিলো তওরাত কিতাব, যার বিধান ছিলো জারি। মূসা (আলাইহিস্ সালাম) সেই বিধানের আলোকেই খিজির (আলাইহিস্ সালাম)-এর কাজের বিরোধিতা করেছিলেন। শরীয়তে মুহাম্মদীয়া’তেও একই বিধান জারি আছে। কিন্তু খিজির (আলাইহিস্ সালাম) যা যা করেছিলেন, তা ছিলো আল্লাহরই নির্দেশক্রমে - একেবারেই কাশফ/দিব্যদৃষ্টি ও কারামতের ভিত্তিতে। কেননা তিনি আল্লাহর ‘অনুগ্রহ’ ও ’ইলমে লাদুন্নী’-প্রাপ্ত। আল্লাহর এরাদা তিনি এ নৈকট্যের বলেই জেনেছিলেন; ওই সময় তাঁর সাথে ছিলো না কোনো ঐশী কিতাব! একইভাবে, উম্মতে মুহাম্মদীর চার খলীফা (রা.)-ও আধ্যাত্মিকতায় সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হয়েছেন। তাঁরা কাশফের বলে যা যা বলেছেন, তা প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ‘রহমত’ দ্বারা মু’মিন মুসলমান সমাজ অর্জন করবেন - এ কথা তো অনস্বীকার্য! আমরা নগণ্য উম্মত বদর, হুনায়ন দেখি নি, সাহাবা, বিশেষ করে চার খলীফা (রা.)-এর সোহবত পাইনি, আমলও পুরো করতে পারি নি, এমতাবস্থায় রাসূল (দ.)-এর যিকর যা সূরাহ আলাম নাশরাহ-লাকা’তে আল্লাহতায়ালা সমুন্নত করেছেন বলে জানিয়েছেন, তা পালন করতে তোমাদের এতো আপত্তি কেন? বলাই বাহুল্য যে, তিনি ধরণীতলে শুভাগমন না করলে কোথায় যেতো তোমাদের আমল, আর কোথায় যেতো তোমাদের সহীহ হাদীসচর্চা! ইমাম ইবনু হাজর (রহ.)-এর কাশফকে তাই অবজ্ঞা কোরো না! নইলে আখেরাতে আল্লাহর কাঠগড়ায় জবাবদিহি করতে হবে। কেননা হযরত ইমাম (রা.)-এর বর্ণনাগুলো শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। যিকরে রাসূল (দ.) কেন সমুন্নত? মুসলমানদের দুনিয়াবী ও উখরাভী তরক্কীর জন্যে! তিনি আমাদের জন্যে আল্লাহর রহমত! হাদীসে এসেছে “কেউই তার আমলের জন্যে নাজাতপ্রাপ্ত হবে না।” জিজ্ঞাসিত হওয়ার পর তিনি বলেন তাঁর ক্ষেত্রেও তাই। একমাত্র আল্লাহর রহমতই নাজাতের উৎস হবে। এখানে বোঝা দরকার যে, আল্লাহর রহমত স্বয়ং রাসূল (দ.) [সূরাহ আম্বিয়া, ১০৭ আয়াত]!