লেখক: মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন
[লেখাটি সম্পাদনা করা হয় নি; তবে প্রকাশের সময় হবে, ইনশা’আল্লাহ। মতামত লেখকের, এডমিন দায়বদ্ধ নই। - এডমিন]
#মিনহাজি বাতেন সম্প্রদায়সহ ইবনে সাবার নাপাক আউলাদরা এই মুহাররম মাসে আহলে বাইতের চর্চা না করে প্রতিনিয়ত সাহাবি বিদ্বেষ চর্চা করছে। পথভ্রষ্ট বাতেন ও মিনহাজি চেলাচামুন্ডাদের দাবি- কারবালার ঘটনার জন্য সাইয়্যিদুনা আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু দায়ী!
#অথচ মিনহাজের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর তাহিরুল কাদেরি সাহেবের স্পষ্ট কথা- সাইয়্যিদুনা আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইয়াযিদকে মনোনয়ন দানের ব্যাপারে কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না, তিনি ইসলাম ও মুসলমানমাদের হিতাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। তার এই উদ্যোগের পিছনে কাজ করেছিল হিত ও মঙ্গল কামনা।
#কাদেরি সাহেবের এই কথাগুলো বলেছেন উনার লিখিত "শাহাদাতে ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু দর্শন ও শিক্ষা" বইয়ের 90 ও 91 পৃষ্ঠায়।
#কাদেরি সাহেব লিখেন-----
#হযরত আমীরে #মুয়াবিয়া অবশ্যই ইসলাম ও মুসলমানের হিতাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। তিনি খেলাফত প্রশ্নে আগেকার ন্যায় মুসলমানদের মাঝে খুনাখুনি ও রক্তপাত চাননি। বিগত অবস্থাদির প্রেক্ষাপটে তিনি এও বুঝতেন যে, তিনি যদি খেলাফত ও ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই বাদ দিয়ে দেন কিংবা কোন কমিশনকে খলিফা নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়ে দেন তাহলে লোকেরা কখনো কোন ব্যক্তি বিশেষের উপর একমত হবে না। তখন বিভিন্ন এলাকা হতে খেলাফতের অনেক অনেক দাবিদার দাঁড়িয়ে যাবে এতে করে মস্ত এক অস্থিতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তিনি এও উপলব্ধি করতেন যে, খেলাফত যদি বনু হাশেমকে দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে বনু উমাইয়ার লোকেরা যারা জাতিগতভাবে অবিচ্ছিন্ন কখনো মেনে নেবে না। ফলে যুদ্ধবিগ্রহের নির্ঘাত এক ক্রমবর্ধমান ধারার অবতারণা হবে অতএব তিনি বনু উমাইয়ার উপর আপন পুত্রকে প্রাধান্য দিলেন। ঐতিহাসিকদের মতে যে ছিল রাজনৈতিক বিষয়ে খুবই পারদর্শী ও সিদ্ধহস্ত।
তিনি ভুল করুক আর শুদ্ধ করুক, এ কথাটি অবশ্য সর্বজনবিদিত যে, এসব কিছু তিনি মুসলমানদের মাঝে খুনাখুনি ও রক্তারক্তি বন্ধ করার মানসেই করেছিলেন। এ কথাটির সাক্ষী তাঁর এই দোয়াটি, যা তিনি এজিদকে দায়িত্বভার অর্পণ করার পরে করেছিলেন।
اللهم ان كنت تعلم اني وليت لانه فيما اراه اهل لذالك فاتمم له ما وليته و ان كنت وليته لاني اخبه فلا تتمم له وليته.
"হে আল্লাহ তুমি যদি জানো যে, এজিদকে আমি তার যোগ্যতার ভিত্তিতে দায়িত্বভার অর্পণ করেছি তাহলে তুমি তাকে দিয়ে এই দায়িত্ব পূর্ণ করিয়ে নাও। পক্ষান্তরে তুমি যদি একথা জানো যে, স্বজনপ্রীতির বশবর্তী হয়ে আমি তাকে এই দায়িত্ব অর্পণ করেছি, তাহলে তুমি তাকে দিয়ে এই দায়িত্ব পূর্ণ করিও না।"
(আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮:৮০)
হযরত আমীরে মুয়াবিয়ার এই উদ্যোগকে শুদ্ধ বলুন আর ভুল বলুন, এ কথাটি কখনো অস্বীকার করা যায় না যে, তাঁর উদ্যোগের পিছনে কাজ করেছিল হিত ও মঙ্গল কামনা। ওলামায়ে আহলে সুন্নাতগণ এ উদ্যোগের কথা ভেবে এবং নবী দঃ এর সাথে সম্পৃক্ততার অর্থাৎ সাহাবা হওয়ার কথা বিবেচনা করে হযরত আমীরে মুয়াবিয়ার ব্যাপারে উচ্চবাচ্য করা, তাঁর সমালোচনা করা, তাঁকে গালমন্দ করা এবং ভালমন্দ বলা হারাম ঘোষণা করে দিয়েছেন।
------
#এবার পথভ্রষ্ট মিনহাজি শিয়াদের বলতে হবে, মনোনয়নের ব্যাপারে সাইয়্যিদুনা আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর পদক্ষেপকে সমর্থন করে কাদেরি সাহেব আহলে বাইতের দুশমন হননি??????
বিশেষ দ্রষ্টব্য- আমার বিশ্বাস মতে, কারবালার ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ি নাপাক, অভিশপ্ত, বদবখত ইয়াযিদ।
*সমাপ্ত*